সংক্ষিপ্ত
কবীর সুমনের বিরুদ্ধে আইনি রাস্তায় হাঁটতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শনবিরাই কবীর সুমনের বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে চলেছে কলকাতা জেলা বিজেপি।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী ফেরানোর ঘটনার পর থেকেই এই ইস্যুতে একাধিকবার মুখ খুলত দেখা গিয়েছে বাংলার আর এক সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমনকে। এমনকী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক অসুস্থতার জন্যও সরাসরি কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে একদিকে যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি বরাবরই বদান্যতা দেখিয়ে এসেছেন কবীর সুমন তেমনই আবার মোদী-বিজেপি-আরএসএস বিরোধী মুখ হিসাবেও তাঁর রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। এদিকে শুক্রবার রাত থেকে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে কবীর সুমনকে নিয়ে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের এক সাংবাদিকের (Journalist of private media) সঙ্গে কবীর সুমনের টেলিফোনে কথোপকথনের (Kabir Suman's telephone conversation) ওই অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে এক সাংবাদিককে তীব্র ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায় কবীর সুমনকে। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবার এই ইস্যুতেই কবীর সুমনের বিরুদ্ধে আইনি রাস্তায় হাঁটতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শনবিরাই কবীর সুমনের বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানাল কলকাতা জেলা বিজেপি। দায়ের হল এফআইআর। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। শনিবার সকালেই এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান কবীর সুমনের এই অসভ্য ভাষার বিরুদ্ধে এবং সামগ্রিক বাঙালি জাতির প্রতি ওনার যে তীব্র ঘৃণা এবং জাতির মাতৃত্বকে যেভাবে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আজকে ২.৩০ নাগাদ মুচিপাড়া থানায় এফআইআর দায়ের করা হবেl তবে এই ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিলেন কবীর সুমন সেই চ্যানেলের মালিক পক্ষের সঙ্গে বরাবরের সখ্যতা রয়েছে মোদী শিবিরের। এমনকী কিছুদিন আগেই এই চ্যানেলের মালিকের নাম জড়ায় বড়সড় টিআরপি কাণ্ডে।
আরও পড়ুন-ফেরাতে হবে আমফান ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা, বিডিও-র আচমকা নোটিশে ব্যাপক চাঞ্চল্য তারকেশ্বরে
আরও পড়ুন-আগামী ৩ দিন জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা রাজ্যজুড়ে, তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বৃষ্টি সরস্বতী পুজোয়
বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে ওই চ্যানেলের প্রধানের হোয়াসট্অ্যাপে কথোপকথনের স্ট্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় একাধিক জল্পনা। এদিকে এই কাণ্ডে কিছুদিন আগে দেশজোড়া বিতর্কের মুখে পড়ে পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে কথা বলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নেতা–মন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ বারবার টেনেছেন ওই চ্যানেলের মুখ্য সম্পাদক। যদিও তারপরেও সুমন নিয়ে বিতর্ক থাকছেই। অনেকেই প্রশ্ন করেন, কোনও চ্যানেলের হাউজ পলিসি যাইহোক না কেন, কীভাবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন কবীর সুমনের মতো নামজাদা শিল্পী? এমনকী গতকালই সুমনের সমালোচনায় সরব হতে দেখা গিয়ছিল কবি শ্রীজাতকেও।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে ৯১ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, নতুনদের সঙ্গেই ফের পুরনোতে আস্থা দলের