সংক্ষিপ্ত

  • বাদুড়িয়ার খালে সন্দেহজনক মাংসের বস্তা
  • মানুষের দেহাবশেষ বলে অনুমান গ্রামবাসীদের
  • মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাল পুলিশ
  • সন্দেশখালি কাণ্ডে নিখোঁজদের দেহাবশেষ, সন্দেহ বিজেপি নেতাদের

বস্তাবন্দি মাংস উদ্ধারকে গিরে চাঞ্চল্য উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়ায়। ইছামতী খাল থেকে এ দিন ওই মাংসের বস্তাগুলি উদ্ধার হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সন্দেহ, সন্দেশখালির সংঘর্ষে নিখোঁজ তিন বিজেপি কর্মীর দেহাবশেষ ছিল ওই বস্তায়। বস্তাগুলি উদ্ধার করে মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ দিন দুপুরে বাদুড়িয়া থানার দ্বীপ মেদিয়া গ্রামে ইছামতী নদীর একটি শাখা নদীর মধ্যে ওই পাঁচটি বস্তা ভাসতে দেখা যায়। জোয়ারের জলে ওই পাঁচটি বস্তা ভেসে আসে বলে জানান গ্রামবাসীরা। জোয়ার চলে যাওয়ার পরেও বস্তাগুলি নদীর জলেই ভাসছিল। সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। বাদুড়িয়া থানার পুলিশ এসে বস্তাগুলি কেটে তার মধ্যে মাংসের সন্ধান পায়। প্রথমে পুলিশকর্মীরা কোনও প্রাণীর মাংস বলেই সন্দেহ করছিলেন। কিন্তু দেখা যায় প্রতিটি বস্তার ভিতরেই প্লাস্টিক এবং চট দিয়ে ভাল ভাবে মুড়িয়ে মাংস ভরা হয়েছে। যা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ এবং গ্রামবাসীদের। কোনও প্রাণীর মাংস হলে এভাবে কেন তা নদীর জলে ফেলা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 

এর পরেই বস্তাগুলি উদ্ধার করে তার মধ্যে থাকা মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য বাদুড়িয়া প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বিজেপি-র সহ- সভাপতি তাপস মিত্রের দাবি, বস্তার মধ্যে থাকা মাংস পিণ্ড আসলে তাদের নিখোঁজ তিন সমর্থকের দেহাবশেষ। 

প্রসঙ্গত গত শনিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়। বিজেপি-র অভিযোগ ছিল, তাঁদের তিন সমর্থক ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ফলে এ দিন উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি মাংস আসলে তাঁদের দলের নিখোঁজ সমর্থকদের দেহাবশেষ বলে দাবি বিজেপি-র স্থানীয় নেতাদের। এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ।