সংক্ষিপ্ত
হড়পা বান পাহাড়ি এলাকায় যথেষ্টই ভয়ানক। কারণ পাহাড়ের উপরে থাকা জমা জল প্রবল গতি নিয়ে নিচে নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যে চারিদিক ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় এই হড়পা বান।
বিসর্জনে বিষাদের সুর। জলপাইগুড়িতে বিসর্জনের সময়ই দুর্ঘটনা। মাল নদীতে হড়পা বান। নদীতে তলিয়ে গিয়ে কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা মধ্যে মাল নদীতে ছিল বিসর্জনের ভিড়। সেই সময়ই মাল নদীতে আসে হড়পা বান। প্রবল জলের স্রোতে বেশ কয়েক জন তলিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানান হয়নি। তবে স্থানীয়দের মতে কমপক্ষে তিন জনের জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পরই দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগে জেসিবি নামিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। জানা গেছে, পাহাড় থেকে প্রবল জলস্রোত নামতে থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা সমস্যা হয়। উদ্ধারকাজ চলছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত প্রবল জলের তোড় থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম দফায় স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রশাসনের মতে নিখোঁজের সংখ্য়া ২০-২৫। মাঝ নদীতে অনেকে আটকে রয়েছে. রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। উদ্ধারকাজে গতি আনতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ঘানটি ঘাটের কাছে। জেলা শাসনক জানিয়েছেন প্রবল জলস্রোতে অনেকেই ভেসে গিয়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তবে প্রশাসন উদ্ধারকাজে রীতিমত তৎপর। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
প্রাসন সূত্রের খবর নদীর একটি আইল্যান্ডে জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া প্রায় ৪০ জন আটকে রয়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজ কিছুটা হলেও ব্যহত হয়েছে। তাছাড়াও এখনও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই কারণে সমস্যায় পড়েছেন উদ্ধারকারীরা।
মূলত শুখা নদী হিসেবেই পরিচিত মাল নদী। বর্ষাকাল ছাড়া এই নদীতে বছরের অন্য সময় তেমন জল থাকে না। কিন্তু চলতি বছর উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও প্রবল বৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের মতে উঁচু পাহাড়ের কোথাও জল জমে ছিল। তাই প্রবল স্রোতের সঙ্গে তা আচমকাই নেমে আসে। মুহুর্তের মধ্যেই বিসর্জন বিষাদে পরিণত হয়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। সজন হারা কান্না আর আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা এলাকা।
বিস্তারিত আসছে...