সংক্ষিপ্ত
সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে, সাতটি লোন কার্ড থেকে যে জিনিস গুলি কেনা হয় সেগুলি নদীয়ার একটি ঠিকানায় ডেলিভারি করা হয়েছে।
বাংলায় ক্রমেই বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা। এমতাবস্থায় এবার বাজাজের ভুয়ো লোন কার্ড তৈরি করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার (Millions of rupees of fraud) অভিযোগ উঠল। গ্রেফতার প্রাক্তন আইটি কর্মী বুদ্ধদেব বিশ্বাস। নদীয়া থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bidhannagar Cyber Crime Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসে বাজাজ সংস্থার তরফ থেকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হয়, ওই সংস্থার সাতটি লোনের কার্ড ব্যবহার করে বেশকিছু দ্রব্য অনলাইন থেকে কেনা হয়। তবে তার পর থেকে লোনের কিস্তি কালেক্ট করতে গেলে সংস্থা দেখতে পায় সাতটি কার্ড বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ইস্যু হলেও তাদের কাছে কোনও রকম তথ্য নেই এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট কার্ডের সঙ্গে যুক্ত নেই।
সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে, সাতটি লোন কার্ড থেকে যে জিনিস গুলি কেনা হয় সেগুলি নদীয়ার একটি ঠিকানায় ডেলিভারি করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্তে উঠে আসে সাতটি কার্ড বিভিন্ন ব্যক্তির ডকুমেন্ট দেওয়া হলেও ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস একটি ব্যবহার করা হয়েছে যেটি নদীয়ার বাসিন্দা এক মহিলার। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল নদীয়ায় হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে প্রাক্তন আইটি সংস্থার কর্মী বুদ্ধদেব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- BF-GF ছাড়া ঢোকা যাবে না যাদবপুরের 'ভ্যালেন্টাইন ফেস্টে', 'নোটিশ' ঘিরে জোর চর্চা
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্ত প্রথিতযশা একটি বেসরকারি আইটি সংস্থার কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। ফলত এই অভিযুক্ত টেকনোলজির সঙ্গে ওতপ্রোভাবে জড়িত থাকায় এই প্রতারণার ছক তৈরি করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, এই অভিযুক্ত বাজাজ সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে ভিন্ন ব্যাক্তিদের প্যান কার্ড এবং আঁধার কার্ড তথ্য দিয়ে কার্ডের জন্যে আবেদন করতো। তবে প্রতিটি কার্ডের জন্যে এই অভিযুক্ত নিজের স্ত্রীয়ের ব্যাংকের একাউন্ট ব্যবহার করতো। এই ধরনের সাতটি কার্ড ইস্যু করে সেই কার্ডের সাহায্যে লোন মারফত প্রায় ২ লক্ষ টাকার উপরে জিনিস ক্রয় করে। এবং পরবর্তীতে সেই জিনিস গুলি বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লাভ করতো।
আরও পড়ুন- CISCE ৭ ফেব্রুয়ারি ICSE, ISC-র প্রথম সেমিস্টারের ফল প্রকাশ করছে, কোথায় কীভাবে দেখবেন জানুন
আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ব্যক্তি ভুয়ো লোনের কার্ড তৈরি করার জন্যে যে প্যান কার্ড এবং আঁধার কার্ড ব্যবহার করতো সেই ডকুমেন্টস গুলি কোথা থেকে জোগাড় করতো সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া এই অভিযুক্তের সঙ্গে বাজাজ সংস্থার কোনও ব্যক্তির যোগ আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন- ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রনের নতুন রূপ, ফের কী বাড়বে সংক্রমণ, বাড়ছে উদ্বেগ