সংক্ষিপ্ত
চলে গেলেন জয়ন্ত নস্কর
গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক
করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন
কিন্তু, ফুসফুসের সংক্রমণই কেড়ে নিল তাঁকে
চলে গেলেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। ২ মে ফল বেরিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের। তারপর গত ১১ মে তারিখে ধরা পড়েছিল গোসাবার বিধায়ক করোনা আক্রান্ত। পরিবার সূত্রের জানানো হয়েছে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিললেও, বিধায়ক গত কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ মৃত্যু হয় এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের।
করোনা আক্রান্ত জয়ন্ত নস্করকে প্রথমে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দিন কয়েক পর কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে স্তানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মাসখানেক ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন গোসাবার বিধায়ক। ফুসফুসে দ্বিতীয় সংক্রমণ ছিল তাঁর। এরজন্য শুক্রবার একটি অস্ত্রপ্রচারও করা হয়েছিল। তারপর থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এদিন সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল, ভেন্টিলেশনের সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, রাতে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
২০২১ বিধানসভা ভোটে জয়ের খবর পাওয়ার পর
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ময়দানে ছিলেন জয়ন্ত নস্কর। শুরু করেছিলেন একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে। বাম আমলেও বাসন্তীর চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের হাতে রেখেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একেবারে শুরুর দিন থেকেই। তারপর ২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে গোসাবা আসন থেকে তৃণমূলে টিকিট পেয়েছিলেন, জিততে পারেননি। তবে ২০১১ সালে পরিবর্তনের হাওয়ায় তিনিও প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে জিতেছিলেন বাম প্রার্থীকে হারিয়ে। তারপর ২০১৬ সালে জয়ে ভোটের ব্যবধান হয়েছিল দ্বিগুণ, ২০২১-এ তৃতীয়বার জয়ে ব্যবধান বেড়ে হয়েছিল ২৩ হাজারের বেশি।
জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে, তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এটা দলের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে তাঁকে 'দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা' বলে উল্লেখ করেছেন।