আদালতের রক্ষাককবচেও নিস্তার নেই গ্রেফতার হলেন আরামবাগ টিভির সম্পাদক টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা

এ রাজ্যে শাসকের 'রোষে'র মুখে সংবাদমাধ্যম! আদালতের রক্ষাকবচেও শেষরক্ষা হল না। ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভির সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ও ওই চ্যানেলেরই এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর টুইট, 'সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে রাখা মানে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করে দেওয়া।'

আরও পড়ুন: করোনা-ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য়,পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে পথে বাম-কংগ্রেস

ঘটনা ঠিক কী? এপ্রিল মাসে ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভিতে ভিডিও ফুটেজ-সহ দেখানো হয়, লকডাউনের সময়েও থানা থেকে ক্লাবগুলিকে চেক বিলি করা হচ্ছে। বস্তুত, চাপের মুখে পড়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেয় পুলিশও। চ্যানেলের সম্পাদক সফিকুলের অভিযোগ ছিল, মানুষের সমানে পুকুর চুরি হওয়ার ঘটনা তুলে ধরায় পুলিশকে তাঁকে জেলে পাঠাতে চাইছে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক নির্দেশ দিয়েছিলেন, আরামবাগ টিভির সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু ঘটনা হল, অন্য একটি মামলায় রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী আলিমা বিবি ও আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে।

আরও পড়ুন: নবান্নে করোনার গ্রাসে জয়েন্ট সেক্রেটারি,জমি দফরের আমলা এই মহিলা

কেন? জানা গিয়েছে, গাছ কাটা নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সফিকুল ও সাংবাদিক সুরজের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগকারীর দাবি, সুরজ তাঁকে হুমকি দেন, ৩০ হাজার টাকা না দিলে গাছ কাটার খবর ফাঁস করে দেবেন! তাঁর বক্তব্য, তিনি সুরজকে বলেছিলেন পঞ্চায়েতের নির্দেশে গাছ কাটছেন। তাও টাকা চাওয়া হয়। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ধৃতদের আইনজীবী। সফিকুল, তাঁর স্ত্রী ও সাংবাদিক সুরজকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে এই ঘটনা টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'সরকারি টাকা ভুয়ো ক্লাবগুলির মধ্যে বিলি করা তুলে ধরাতে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার হয়েছে।'

Scroll to load tweet…