উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে উদ্ধার বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহবিধায়কের ভাইপোর দাবি তাঁর কাকাকে খুন করা হয়েছেতিনি জানিয়েছেন রবিবার গভীর রাতে তাঁদের পাড়ায় হানা দিয়েছিল একটি বাইকতারপর 'একটু আসছি' বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর কাকা 

রাত তখন প্রায় একটা। পাড়ায় সকলেই ঘুমোচ্ছে। সেই সময়ই পাড়া কাঁপিয়ে হানা দিয়েছিল একটি বাইক। কে ছিল সেই বাইকে, কেউ জানেন না। কিন্তু, উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদে রহস্যজনকভাবে মৃত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ভাইপো ক্ষিতীশচন্দ্র রায় জানিয়েছেন ওই বাইকওয়ালাই তাঁর কাকাকে ডেকে এনে, আরও কয়েকজন দুস্কৃতীর সহায়তায় খুন করেছে।

সোমবার সকালে হেমতাবাদের বালিয়ামোড় এলাকার এক দোকানের বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েথে স্থানীয় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। কীভাবে তাঁর মৃত্য়ু হল, তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। নিহত বিধায়কের ভাইপো জানিয়েছেন, রবিবার রাতে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে একজন একটি নথিতে বিধায়কের স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন। সেই কাজ সেরে তিনি রাত সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর অন্যান্যদিনের মতোই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন।

রাত একটা নাগাদ বাইক নিয়ে কেউ তাদের বাড়িতে এসেছিল। পাড়ার সকলেই ঘুমিয়ে থাকলেও, বাইকের আওয়াজ তারা পেয়েছিলেন। ক্ষিতীশচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, ওই বাইক আসার পর, তাঁর কাকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কাকিমার ঘুম ভেঙে যাওয়াতে তাঁকে বলেছিলেন, 'একটু আসছি'। কিন্তু সেই কথা তিনি রাখতে পারেননি। গোটা রাতেি আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।

Scroll to load tweet…

ভোর ৫টা নাগাদ স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এসে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর দিয়েছিল ক্ষিতীশচন্দ্র রায়কে। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা হানা দেওয়ায় তিনি বা পাড়ার কেউ বলতে পারছেন না কে বা কারা 'অজাতশত্রু', 'মিশুকে' হিসাবে পরিচিত এই বিধায়ককে হত্যা করল, কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এই বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত। ক্ষিতীশচন্দ্র রায় এককদম এগিয়ে অভিযোগ করেছেন 'খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে'। একইসঙ্গে তিনি ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।