সংক্ষিপ্ত
হাওড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত। তাই রক্তদান শিবিরের উদ্দোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিবিরের সংখ্যা বাড়াতে উদ্য়োগী জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
হাওড়ায় ডেঙ্গুর (Dengue in Howrah)প্রকোপ অব্যাহত। (WB blood donation camps) রক্তদান শিবির কম হওয়ার ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সমস্যার আশঙ্কা। তাই রক্তদান শিবিরের উদ্দোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিবিরের সংখ্যা বাড়াতে উদ্য়োগী জেলা স্বাস্থ্য দফতর (District Health Department)।
হাওড়া জেলা হাসপাতালে বসানো হয়েছে ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশান ইউনিট। জেলার ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্যে প্লেটলেটের চাহিদা মেটানো ছিলো মূল লক্ষ। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে জেলায় কমেছে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা। আগের মত সারা সপ্তাহ জুড়ে রক্তদান শিবির কোভিড পরবর্তী সময়ে আয়োজন করছে না শিবিরের উদ্দোক্তারা। মূলত সপ্তাহের শেষে, শনি ও রবিবার রক্তদান শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। টাটকা রক্ত থেকে প্লেটলেট নিষ্কাশন করার পরে তা ব্যাবহারযোগ্য থাকে মাত্র চারদিন। ফলে সপ্তাহের মাঝখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের দেওয়ার জন্যে প্লেটলেটের সরবারাহে সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটাতে এবারে জেলার রক্তদান শিবিরের আয়োজকদের সাথে বৈঠক করতে চাইছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। রক্তদান শিবিরের আয়োজকদের মূলত সপ্তাহের মাঝের দিনগুলিতেও শিবির আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই এই বৈঠক। ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনও চলছে হাওড়ায়। নিয়মিতভাবেই হাওড়ায় মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে ২থেকে ৩জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের রক্তে প্লেটলেট কমে যাওয়া একটি প্রধান সমস্যা। রক্তে পর্যাপ্ত প্লেটলেটের অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে রোগীদের রক্তে প্লেটলেটের পরিমান বাড়াতে প্লেটলেট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, COVID-19: দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ফের পার করল ৫০০-র গণ্ডী, জেলায় কোভিডে বলি ৯
হাওড়া জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক থাকলেও প্লেটলেট তৈরির ইউনিট ছিল না। ফলে রোগীদের প্রয়োজনে প্লেটলেট আনতে হতো কলকাতার ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে। অনেক সময়েই তারফলে রোগীকে প্লেটলেট দিতে দেরি হয়ে যেত। যারফলে অনেক ক্ষেত্রেই তার পরিনামে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাওড়া হাসপাতালেই বসানো হলো ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশান ইউনিট। সেই ইউনিটের মাধ্যমে রক্তের সমস্ত উপাদান আলাদা করা যায়। রক্তের থেকে প্লাজমা, আর বি সি, প্লেটলেট প্রভৃতি উপাদান আলাদা করা সংরক্ষণ করা হয়। সেই ইউনিটটি সুষ্ঠভাবে কাজ করলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে রক্তের যোগানে। রক্ত যেদিন সংগ্রহ করা হয়, সেই দিনই তার থেকে প্লেটলেট নিষ্কাশনের কাজ করতে হয়। একবার প্লেটলেট তৈরি করার পরে তা ব্যাবহারযোগ্য থাকে চারদিন। যেহেতু রক্তদান শিবিরগুলি মূলত শনি ও রবিবারে হয়। সেই কারনে মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যন্ত প্লেটলেট ব্যাবহার করা যায়। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনে প্লেটলেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই এবারে রক্তদান শিবিরের আয়োজকদের সাথে কথা বলে সপ্তাহের মাঝের দিনগুলিতেও রক্তদান শিবির আয়োজনে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিতে চলেছে হাওড়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।