সংক্ষিপ্ত
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। সেই নথির সূত্র ধরেই বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছ ইডি। যেগুলির দিকে নজর রয়েছে তদন্তকারীরা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনেই আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত থাকবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। সেই নথির সূত্র ধরেই বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছ ইডি। যেগুলির দিকে নজর রয়েছে তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছিলেন। কিন্তু কিভাবে এই সম্পত্তি হল? সম্পত্তিগুলি বৈধ না অবৈধ? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি সূত্রের খবর সেই সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে সুন্দরবন থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম সর্বত্রই। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও নাকি রয়েছে পার্থ চট্টেপাধ্যায়ের সম্পত্তি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যের সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে অভিজাত ডায়মন্ড সিটিতে ৪টি ফ্ল্যাট ও বেলঘরিয়া ক্লাব টাউনে ২টি ফ্ল্যাট । নিউটাউনের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ বা অর্পিতার নামে। এছাড়াও বরানগরের একটি ফ্ল্যাটের দিকে নজর কয়েছে ইডির আধিকারিকদের। বোলপুরে রয়েছে সাতটি বাড়ি। সোনারপুরে রয়েছে একটি বাড়ি। হগলির জাঙ্গিপাড়ায় রয়েছে একটি বিশাল বাড়ি। তিনটি ফার্ম হাউসের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার মধ্যে একটি রয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে, অন্যদুটি বারুইপুর ও ঝাড়গ্রামে। এছাড়াও ৪৫ কোটি টাকার একটি স্কুলের সম্পত্তিক দিকে নজর রয়েছে তদন্তাকীদের। এই এলাকায় নাকি পরিকাঠামোখাতে খরচ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। বারুইপুরে ২৫ বিঘা জমিও রয়েছে।
জমিজমাও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ইডি সূত্রের খবর শান্তিনিকেতনে ৪ হাজার স্কোয়ারফিট সম্পত্তি রয়েছে। বানতলায় রয়েছে ১০ বিঘা জমি। যার মূল্য ২৪ কোটি টাকা। প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও নাকি সম্পত্তি করেছিলেন পার্থরা। সেখানে ২৪ একর সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে ইডি। সুন্দরবনেও সম্পত্তি করেছিলেন তাঁরা। সুন্দরবনে গেস্টহাউসের পাশাপাশি সজনেখালিতে রয়েছে রিসস্ট। এছাড়াও বাঘাযতীন রেল স্টেশনের কাছে পশু হাসপাতালের নামে ১২.২৪০ স্কোয়ারফিটের একটি সম্পত্তি রয়েছে বলে অনুমান। বর্ধমানে বালি তোলার একটি ডাম্পারও রয়েছে। এছাড়া একটি পোষাক সংস্থায় প্রচুর টাকা ইনভেস্টমেন্ট করেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি বিনোদন সংস্থার জন্য বাড়িও বানাচ্ছিলেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
এক নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তিঃ
ED-র নজরে পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তি
১। ডায়মন্ড সিটিতে ৪টি ফ্ল্যাট
২। বেলঘরিয়া ক্লাব টাউনে ২টি ফ্ল্যাট
৩। বোলপুরে ৭টি বাড়ি
৪। শান্তিনিকেতনে বিশাল সম্পত্তি
৫। বরানগরে একটি ফ্ল্যাট
৬। নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাট
৭। সোনারপুরে একটি বাড়ি
৮। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় একটি বাড়ি
৯। ৪৫ কোটি টাকার একটি স্কুলের সম্পত্তি
১০। বাঘা যতীন রেল স্টেশনের কাছে পশু হাসপাতালের নামে সম্পত্তি
১১। বারুইপুরে ২৫ বিঘা জমি
১২। সিঙ্গুরে ফার্ম হাউস
১৩। সুন্দরবনে গেস্ট হাউস
১৪। সজনেখালিতে রিসর্ট
১৫। সুন্দরবনে রিসর্ট
১৬। ঝাড়গ্রামে ফার্মহাউস
১৭। ফার্ম হাউস বারুইপুর
১৮। বানতলায় ১০ বিঘা জমি
১৯। ঝাড়খণ্ডের ২৪ একর জমি
২০। বর্ধমানে বালি তোলার জন্য ডাম্পার
২১। একটি পোষাক সংস্থায় প্রচুর টাকা নিয়োগ
২২। একটি বিনোদন সংস্থার বাড়ি
তবে এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির আধিকারিকদের সামনে মুখ খোলেননি। অন্যদিকে অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছেন কোনও সম্পত্তি তাঁর নয়। তিনি শুধুমাত্র কেয়ারটেকার। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাও তাঁর নয়। সেগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে জোকা হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর টাকা নেই। তাতেই প্রশ্ন উঠছে রাশি রাশি টাকা তাহলে কার। পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ
কোটি কোটি টাকা কার?', ইডি-র লাগাতার জেরায় কী ফাঁস করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Friendship Day উপলক্ষ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুরনো একটি ছবি ভাইরাল, আপনিও দেখুন সেটি কেমন
রাজ্যের মানচিত্রে আরও নতুন সাতটি জেলা, নবান্ন থেকে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের