বাংলার এই শহরে আজ পালিত হচ্ছে দোল এই রেওয়াজ বহুদিন ধরেই চলে আসছে বর্ধমানে বর্ধমান মহারাজার সময়ে থেকেই এই নিয়ম এই ঘটনার পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে
হোলি নয় দোল।তবে তা হোলির দিনেই।বর্ধমানের মানুষ মঙ্গলবার রং খেলায় মেতে উঠলেন।
গোটা বাংলায় যেখানে দোল পূর্ণিমার দিনই রং খেলায় মেতে ওঠে মানুষ, সেখানে বর্ধমানের রেওয়াজ অন্য়রকম।সেখানে পরের দিন পালন করা হয় দোল।বর্ধমান মহারাজার সময় থেকেই চলে আসছে এই রেওয়াজ।তার কারণ হিসেবে জানা যায়, রাজবাড়িতে রাধাগোবিন্দ জিউয়ের পুজো হত দোলের দিন।এখন সারাদিন পুজোর পরে আর রং খেলার সময় পাওয়া যেত না।সন্ধে নেমে যেত।তাই তখন একটা উপায় বার করা হয়েছিল।পরের দিন তো আর পুজোআচ্ছা কিছু থাকবে না।সেদিনই তাহলে রং খেলা হোক।
সেই থেকেই চলে আসছে এই রেওয়াজ।এদিন বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় রং আর আবীর মেখে দোল খেলতে দেখা গেল যুবক-যুবতীকে।কোনওরকম অশালীন আচরণ বা বেলেল্লাপনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে এদিন রাজ্য়ের বেশ কিছু জায়গায় চলছে রংখেলা।যদিও করোনার ভয়ে দোলে এবার বড় বেশি ভাঁটা।সোমবারও অনেককে দোল খেলতে দেখা যায়নি।সংক্রমণের ভয়ে বাড়িতে রং বা আবীর কিনে আনেননি অনেকেই।মঙ্গলবারও প্রায় একই দৃশ্য় দেখা গেল।আর এই করোনার আতঙ্কেই এবার কার্যত নজিরবিহীনভাবে শান্তিনিকেতনে বাতিল হল বসন্তোৎসব।
