সংক্ষিপ্ত
- জমি প্রতারণা মামলায় স্বস্তি খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থীর
- তিন সপ্তাহের জন্য রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট
- ভুয়ো দলিল তৈরি করে স্বাধীনতা সংগ্রামে জমি বিক্রির অভিযোগ
- ঘটনার তদন্তে খড়গপুরে সিআইডি-র তদন্তকারীরা
ভোটের আগে গ্রেফতার হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে ২৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অসুবিধা নেই খড়্গপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ- এর। কারণ, বিজেপি প্রার্থীকে আপাতত তিন সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না বলে এ দিন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
খড়গপুরে শহরে খোদ এক স্বাধীনতার সংগ্রামী জমিই ভুয়ো দলিল তৈরি করে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০০৪ সালে খড়গপুরের তালঝুড়ি-সোনামুখি এলাকায় ১১ একর জমি কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করে দেন প্রেমচাঁদ। আর সেই জমির মধ্যে ১১ একর জমি ছিল সুকান্ত বেরা নামে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর। খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের লোকেরা। কিন্ত তদন্তে তেমনভাবে এগোচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকী, গ্রেফতারির ভয়ে প্রেমচাঁদ ঝাঁ পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে অভিযোগ জানান স্বাধীনতা সংগ্রামী সুকান্ত বেরার পরিবারের লোকেরা। আর তাতেই কাজ হয়।
খড়গপুরে ভুয়ো দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির তদন্তভার নেয় সিআইডি। কিন্তু ততদিনে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেমচাঁদ ঝাঁ-এর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গেরুয়াশিবিরে প্রার্থী। ৪ নভেম্বর প্রেমচাঁদ ঝাঁ-এর গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। তাঁর আগাম জামিনের মেয়াদ ছিল বুধবার পর্যন্ত। এ দিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ এর আগেও আরও একবার তাঁর গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এ দিন সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ বাড়ায় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে এক সপ্তাহ পর।
এদিকে আবার বুধবার সকালেই খড়গপুরে এসে হাজির হন সিআইডি-র তদন্তকারী দলের সদস্য। দিনভর চলে তদন্ত। বিতর্কিত জমিটি ঘুরে দেখেন তাঁরা। খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাঁ-এর বাড়িতেও তাঁরা যান বলে খবর। প্রেমচাঁদের অবশ্য দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসে ইশারাতেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে বিজেপি প্রার্থী যাই বলুন না কেন, তাঁকে আজ না হোক কাল জেলে যেতেই হবে বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।