সংক্ষিপ্ত
পরকীয়ায় বাধা পেয়ে স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ গৃহবধূর বিরদ্ধে হুগলিতে। হুগলির চূচূড়ার রবীন্দ্র নগরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক বাঁচাতে নিজের স্বামীকে মৃত্য়ু পথে ঠেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠতেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।
পরকীয়ায় বাধা পেয়ে স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ গৃহবধূর (Housewife ) বিরদ্ধে হুগলিতে (Hooghly)। হুগলির চূচূড়ার রবীন্দ্র নগরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক বাঁচাতে নিজের স্বামীকে মৃত্য়ু পথে ঠেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠতেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চল্লিশের মৃত স্বামীর নাম সুশান্ত মিস্ত্রি। রবীন্দ্র নগরের চারের গোড়ার বাসিন্দা তিনি। বছর ২০ আগে তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা সাথী কুলুর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবীন্দ্র নগরেরই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। এনিয়ে সংসারে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি সপ্তাহ খানেক আগে সুশান্তকে মারধোর অভিযোগও উঠেছে সাথীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, বুধবার সুশান্তকে বিষ খাইয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হয় সুশান্তর দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চুচূড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা আরজিকরে। বুধবার বিকেলেই মৃত্যু হয় সুশান্তের। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাথীর বাপের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। এরপরেই সাথীর মা এবং বাবাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
অপরদিকে, 'সাথীর বাবার দাবি, জামাই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। তা নিয়েই অশান্তি হত মেয়ের সঙ্গে। মেয়ের সঙ্গে অন্যকোনও পুরুষের সম্পর্ক ছিল বলে জানি না। জানলে প্রশয় দিতাম না। জামাই ঘাস মারা বিষ খেয়েছিল। বাড়িতে জানায়নি। যখন জানায়, তখনই তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।' প্রসঙ্গত, পরকীয়ার একাধিক ঘটনা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। স্বামীর পরকীয়ায় অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবেশী। পরকীয়া যে শুধু আর একটা জায়গায় থেমে নেই, আড়ালে-আবডালে পেরিয়েছে সর্বোচ্চ সীমা, বুঝতে পারেন স্ত্রী। কিন্তু জানতে-জানতে সময় অনেকটাই পেরিয়ে গিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই বিশ্বাসভঙ্গের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন স্ত্রী। আবার একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়েছেন বলে স্বামী নিজের রাগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেননি। খুন করেছেন স্ত্রীকেই। পরকীয়ার সবথেকে মর্মান্তিক দিক হল, সবথেকে বেশি ভুগতে হয় যদি সেই পরিবারে কোনও ছোট সন্তান থাকে। তবে একের পর এক ঘটনার পর্দা ফাঁস হলেও নতুন বছরে এসেও তা থেমে নেই। চুচূড়ার এই ঘটনা কী করে ঘটল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।