সংক্ষিপ্ত

  • দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরের ঘটনা
  • গৃহবধূকে আটকে রেখে গণধর্ষণ
  • স্বামীর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ নির্যাতিতার
  • গৃহবধূকে বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

ঘরে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করল দুই বন্ধু। আর সেই ব্যবস্থা করে দিল নির্যাতিতার স্বামী নিজেই। শিউড়ে ওঠার মতো এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরে। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। খোঁজ চলছে বাকি দুই অভিযুক্তের। 

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর বিয়ে হয় ৷ তাঁর স্বামীর বাড়ি ওই জেলারই মধ্যমগ্রামে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই যুবতী বাপের বাড়ি চলে যান ৷ আদালতে ডিভোর্সের মামলাও দায়ের হয়। 

আরও পড়ুন- স্পায়ের আড়ালে মধুচক্র, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে পৌঁছে গেল পুলিশ

গৃহবধূর অভিযোগ, ডিভোর্সের মামলার শুনানি আছে বলে বুধবার তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে ডেকে পাঠায় তাঁর স্বামী৷ সেইমতো যুবতী আদালতে যান। সন্ধে পর্যন্ত বসিয়ে রাখার পর ওই যুবতীর স্বামী তাঁকে বলে, একজন আইনজীবীর বাড়িতে যেতে হবে ৷ অভিযোগ, এর পরেই নির্যাতিতার স্বামী এবং তার দুই বন্ধু ওই গৃহবধূকে সোনারপুরে একটি বাড়িতে নিয়ে এসে দু'দিন ধরে আটকে রাখে। সেখানে তাঁর স্বামীর দুই বন্ধু তাঁকে বেশ কয়েকবার গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। দু' দিন ধরে অত্যাচার চালানোর পরে শুক্রবার রাতে তাঁকে ক্যানিংয়ে নিয়ে যায় তাঁর স্বামীর দুই বন্ধু । সুযোগ বুঝে সেখানে তাদের হাত থেকে বাঁচতে ওই যুবতী স্টেশন চত্বরে ভিড়ের মধ্যে মিশে যান।

পরে তিনি ক্যানিং স্টেশনে রেল পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি জানান। সেখান থেকে রেল পুলিশ তাঁকে সোনারপুর জিআরপি- তে নিয়ে আসে। সবকিছু শোনার পর সোনারপুর জিআরপি-র পক্ষ থেকে তাঁকে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো ওই যুবতী সোনারপুর থানায় স্বামী ও তার দুই বন্ধুর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যুবতী বলেন, 'আমাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল ওই দুই যুবক৷ বলেছিল, চিৎকার করলে মেরে ফেলব৷ সেই জন্য রাস্তায় চিৎকার করতে পারিনি ৷'

খবর পেয়ে রাতেই নির্যাতিতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ধৃতকে এ দিনই বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। নির্যাতিতার স্বামী অবশ্য সব দোষ অস্বীকার  করেছেন।