সংক্ষিপ্ত

চলতি বছরের ৪ নভেম্বর কালীপুজো। প্রতিমা নিরঞ্জন প্রসঙ্গে নবান্নের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৫, ৬ ও ৭ নভেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। রবিবারের মধ্যেই রাজ্যের সব প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে একের পর এক উৎসব লেগেই রয়েছে রাজ্যে (State)। দুর্গাপুজো (Durga Puja) ও লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) পর এবার পালা কালীপুজোর (Kali Puja)। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উৎসবের আনন্দ খুব বেশি দীর্ঘ না করে তা সময়ের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (Health Expert)। তার ফলে সংক্রমণের উপর কিছুটা হলেও রাশ টানা যাবে। তার মধ্যেই কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের দিন ঘোষণা করল নবান্ন (Nabanna)।

চলতি বছরের ৪ নভেম্বর কালীপুজো। প্রতিমা নিরঞ্জন প্রসঙ্গে নবান্নের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৫, ৬ ও ৭ নভেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। রবিবারের মধ্যেই রাজ্যের সব প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়েও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৩ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজো। এই প্রতিমার ভাসানের জন্যও দিন বরাদ্দ করে দিয়েছে নবান্ন। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর নিরঞ্জনের দিন বরাদ্দ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- বাইরে বের হলেই মেরে ফেলা হবে, প্রাণভয়ে বিজেপি পোলিং এজেন্টেকে তালাবন্দি করে রাখলেন মা

৩১ অক্টোবর থেকে রাজ্যজুড়ে করোনার নতুন নির্দেশিকা জারি হবে। শুক্রবারই সেই নির্দেশিকা নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় হল রবিবার থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রায়  মাস পর রাজ্যে গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। তবে এখন মাত্র ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে জারি রাখা হয়েছে নাইট কারফিউ। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। অবশ্য কালীপুজোর জন্য ২ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নাইট কারফিউয়ের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছটপুজোর সময়ও ছাড় দেওয়া হয়েছে নাইট কারফিউতে।  

আরও পড়ুন- খড়দহে আক্রান্ত তন্ময় ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ল দুষ্কৃতিরা

এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সিনেমার আউটডো শুটিংয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিয়ে বা কোনও অনুষ্ঠান বাড়ির জন্য জমায়েতের পরিমাণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই মানতে হবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। 

আরও দেখুন, Bypoll Live Updates - রাজ্যের চার আসনে শুরু ভোটগ্রহণ, কড়া নিরাপত্তায় চার বিধানসভা  

উল্লেখ্য, নৈহাটি, বারাসত, মধ্যমগ্রাম ও দমদমের কালীপুজো বিখ্যাত। প্রতি বছরই ঠাকুর দেখতে সেখানে হাজির হন বহু মানুষ। উপচে পড়ে ভিড়। কোথাও পাঁচদিন, কোথাও আবার ৬দিন প্রতিমাকে মণ্ডপে রাখা হয়। আর পুজোর পাশাপাশি চলে আতসবাজি ফাটানো। অন্যদিকে হুগলির চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো খুবই বিখ্যাত। ওই সময় প্রচুর মানুষের জমায়েত হয় সেখানে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বার বার প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। তার মধ্যে আবার আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। আর সেই কারণে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক করে দিল রাজ্য সরকার।  

YouTube video player