সংক্ষিপ্ত
বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ইতিমধ্যে কেএমডিএ কাজ করছে। এছাড়া পৌরনিগমের যে ড্রেনেজ বিভাগ আছে তারা প্রতি ১০দিন অন্তর হাইড্রেন পরিষ্কার করার কাজ করছে। সারফেস পরিষ্কার করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
বিগত বছরের তীক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বসন্ত থেকেই বর্ষার (Monsoon Season) জল মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাওড়া পৌরনিগম (Howrah Municipality)। ইতিমধ্যেই বেলগাছিয়ার ভাগার এলাকার জল নিষ্কাশনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে তারা। আর বৃষ্টির (Rain) সময় যাতে খুব সহজেই শহর থেকে জল নেমে যেতে পারে তার জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে পৌরনিগমের তরফে। একথা জানিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।
সুজয় চক্রবর্তী বলেন, গত বছরে অতিরিক্ত পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার দরুন সমস্যা বেড়েছিল। যদিও তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক অতীতে এত পরিমাণ বৃষ্টির কোনও উদাহরণ নেই। গত বছরে জমা জল নামাতে পাম্পের উপরেই ভরসা করতে হয়েছিল। এবারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাওড়া পৌরনিগম, সেচ বিভাগ, কেএমডিএ ও হাওড়া ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট একযোগে কাজ শুরু করেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে। হাওড়া শহরের যে খালগুলি আছে তার মধ্যে পচা খালের নাব্যতা বাড়ানোর কাজ সেচ দফতর থেকে শুরু করা হয়েছে। সেগুলো পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ইতিমধ্যে কেএমডিএ কাজ করছে। এছাড়া পৌরনিগমের যে ড্রেনেজ বিভাগ আছে তারা প্রতি ১০দিন অন্তর হাইড্রেন পরিষ্কার করার কাজ করছে। সারফেস পরিষ্কার করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাইড্রেনের উপর ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল
শহর জুড়ে ছোট পয়ঃপ্রণালীগুলো প্রতি ২ দিন অন্তর পরিষ্কার করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া এখন থেকে সারা বছর ধরেই চলবে। তাতে সুজয় চক্রবর্তী আশা করেন গত বছরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবছরে সেই চিত্র দেখতে হবে না শহরবাসীকে। এর সঙ্গে ৭, ৮, ৯, ১৯, ২১ ও অ্যাডেড এরিয়া-সহ যে বারোটি ওয়ার্ড রয়েছে যেখানে এই জল জমার সমস্যা চূড়ান্ত আকার নিয়েছিল, এবছর এই ওয়ার্ডগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর একজন সদস্য ও ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। এখানে এই টিম বিশেষ ড্রাইভ দিয়ে পয়ঃপ্রণালী সচল রাখার সব কাজ করছে।
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে চলতি বছর জমা জলের হাত থেকে শহরবাসী অনেকটাই রেহাই পাবেন বলে মনে করছেন সুজয়। যদিও তাঁর দাবি, মানুষ যদি সত্যি সচেতন হয় তাহলে সুষ্ঠভাবে এই সমস্যা নিরাময় করা সম্ভব। প্লাস্টিক-সহ অন্য বজ্য পদার্থ ড্রেনে ফেল বন্ধ করে দিলে জল যেতে পারবে না। সেক্ষেত্রে মানুষকেই সচেতন হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা সামনে রেখেই মানুষও যদি আরও সচেতন হয় তাহলে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে তাদের কাজের চুড়ান্ত ফল মানুষ পেতে পারবে।
তবে গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাইয়ের বক্তব্য, সমস্ত কাজটাই লোক দেখানো, বিগত দিনে বর্ষার আগে একই রকম কাজ হত। পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই পৌরনিগমের। ফলে বর্ষা আসলে আবারও একই ছবি ধরা পড়বে হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।