হাওড়াতে কি ১৪৪ ধারা জারি হতে চলেছে ? মমতার আবেদনে সাড়া না দিয়ে নুপুর ইস্যুতে উত্তাল এই জেলা

হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যে ইতিমধ্যেই চাপের মুখে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। আর এবার  নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যে জের গড়াল আদালতেও। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিন ভোর হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আবেদনে সাঁড়া দিল না বিক্ষোভকারীরা। ফের রাস্তা, রেল অবরোধ করতেই আমজনরা দুর্ভোগ বাড়ল। এধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কর্মসূচি দমনে পুলিশও পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ১৪৪ ধারার পথে হাঁটতে চলেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার এর নেপথ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগসাজশের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় বড়সড় ষঢ়যন্ত্র হয়েছে, অভিযোগ তুলে, এনআইএ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির এজলাসে দায়ের করা হয়েছে মামলা। এদিন হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে গিয়ে মামলাকারী দেবদত্ত মাঝি জানান, অবরোধের ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর মদত থাকতে পারে। আগামী দিনে বড়সড় হামলার ছক করা হতে পারে।এর পিছনে আলকায়দা সমর্থিত দেশগুলির মদত থাকতে পারে বলে মনে করেছেন মামলাকারী।

প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই  উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।হাজারের বেশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা করয়েছে । কানপুরের পুলিশ কমিশনার বিজয় সিং মীনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,  অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। চলবে বুলডোজারও।  

এদিকে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশের একাধিক রাজ্যে আত্মঘাতী হামলার হুমকি আলকায়দার। নূপুর শর্মাকে বিজেপি সাময়িক বরখাস্ত করলেও বিতর্ক থামেনি। ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর, দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পার হলেও বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে বিতর্ক লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে। ক্ষোভের আগুন নিভে যাওয়া তো দূরের কথা, তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, আরও একাধিক দেশে ভারতের সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। অন্তত ১৫ টি দেশ এই ইস্যুতে তাঁদের সমালোচনা প্রকাশ করেছে। ইরাক, লিবিয়া, মালওয়েশিয়া , তুরস্ক-সহ এক ডজনেরও বেশি মুসলিম রাষ্ট্র এই সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ফোরক বাক্যটি বলেছে আলকায়দাই। আলকায়দা জানিয়েছে, 'নবীর সম্মানের জন্য লড়াই করতে,দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে তাঁরা আত্মীঘাতী হামলা চালাবে।'