সংক্ষিপ্ত
হুমায়ুন কবীর ডেবরা বিধানসভা এলাকার বিধায়ক। নিজে বিধায়ক হওয়ার আগে ডেবরার চককৃপান এলাকার একটি খাল পাড়ের বেহাল রাস্তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিধায়ক হলে এই রাস্তার কাজ আগে শুরু করবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের (West MIdnapore District) ডেবরা এলাকাতে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) ৷ রাস্তা সংস্কারের কাজের মান দেখতে বিশেষভাবে সক্ষম (Physically Handicapped) এক ব্যক্তির ট্রাইবাইকে চড়ে দেড় কিমি পথ অতিক্রম করেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা খারাপ হলে বিশেষভাবে সক্ষমরাই সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী হয়, তাই বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তির অনুরোধে তাঁরই বাইকে চড়ে সংস্কার শুরু হওয়া পুরো এলাকা ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী (Minister)। আর কর্মসূচি সেরে ডেবরা গ্রামীণ উৎসবে আদিবাসীদের সঙ্গে নাচতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
হুমায়ুন কবীর ডেবরা বিধানসভা এলাকার বিধায়ক। নিজে বিধায়ক হওয়ার আগে ডেবরার চককৃপান এলাকার একটি খাল পাড়ের বেহাল রাস্তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিধায়ক হলে এই রাস্তার কাজ আগে শুরু করবেন। ডেবরার চককৃপান এলাকার খালের পাড় গ্রামবাসীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বহু লোক প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। বেহাল হয়ে পড়েছিল সেই খাল পাড়ের দেড় কিমি রাস্তা। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরই সেই রাস্তার কাজ শুরু করে দেন হুমায়ুন কবীর। শনিবার সেই সংস্কারের কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে বেরিয়েছিলেন মন্ত্রী। চককৃপান এলাকাতে প্রবেশ করতেই সেই রাস্তার কাছে দেখা হয় বিলু পাত্র নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিলু তখন ট্রাই বাইকে করে সেই রাস্তার পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মন্ত্রীকে রাস্তা দেখাতে যাওয়ার সময় বিলু নিজের ট্রাই বাইককে করে দেখতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বিলুর দাবি ছিল ওই গাড়িতে করে গেলে রাস্তা আরও ভালো করে বোঝা যাবে। মন্ত্রী তাতেই রাজী হয়ে যান। সংস্কারে থাকা প্রায় কিমি রাস্তা বিলুর বাইকে করে দেখতে দেখতে যান তিনি। পরে চককৃপান গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই রাস্তা প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেন, "নির্বাচনের আগেই বেহাল রাস্তাটি দেখেছিলাম। তখনই বলেছিলাম রাস্তার কাজটি আমি করব। সেই মতো কাজ শুরু করেছি। বোল্ডার মোরাম দিয়ে মজবুত করে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। সেটা খতিয়ে দেখে দায়িত্বে থাকা কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।" আর এই পরিদর্শনের পদ্ধতি নিয়ে অনেকেই বহবা দিয়েছেন মন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই শুরু মাধ্যমিক, অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিলু আসলে হুমায়ুন কবীরের একজন ভক্ত। তাই মন্ত্রী যখন এই সরু রাস্তা দিয়ে পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন সে নিজে মন্ত্রীকে অনুরোধ করে নিজের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে মন্ত্রীও এই পদ্ধতিতে ভালো করে রাস্তার কাজ পরখ করতে পারলেন।" বিলু বলেন, "মন্ত্রী দাঁড়িয়েছিলেন যাবেন বলে। আমি তাই আমার গাড়িতে তুলে নিয়েছিলাম। উনি ভালো মনের মানুষ সকলের সঙ্গে মিশে যান। তাই আমি নিজে ঘুরিয়ে রাস্তাটা দেখালাম। কাজও ভালো হচ্ছে। আমাদের মতো লোকজনদের সুবিধে হল।"