সংক্ষিপ্ত
সকাল বেলা দোকান খুলতেই মাথার পাশে ছিঁড়ে পড়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন উত্তর আসানসোলের শীতলা গ্রামের যুবক তথা দোকানদার।
তৃণাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান- শুনলে অবাক হবেন। এই গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়েই প্রথমে উপর দিকে তাকান। না সূর্য প্রণাম নয়। তাঁরা দেখেন মাথার ওপর বিদ্যুতের তার। আতঙ্কে আগেই দেখে নেন ছিঁড়ে পড়বে না তো ১১ হাজার ভোল্টের তার ?
উত্তর আসানসোলের (Asansol) শীতলা গ্রামের অবস্থা এখন এরকমই। চার বছর ধরে লড়াই করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। মন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) চিঠিতেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যু (die at any moment) হতে পারে কয়েকশ গ্রামবাসীর (Hundreds of villagers)। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা।
শুক্রবার সকালের ঘটনা যেন আরো বেশি আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। সকাল বেলা দোকান খুলতেই মাথার পাশে ছিঁড়ে পড়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন উত্তর আসানসোলের শীতলা গ্রামের যুবক তথা দোকানদার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিদ্যুত দফতরের গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন এলাকাবাসী।
রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন, মজার প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছেন ৯৯ শতাংশ মানুষ
ক্রমশ কমছে সম্পত্তির পরিমাণ, জানেন এখন কত টাকার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মৃত্যুর পরের এক ঘন্টায় দেহের সাথে কী কী হয়, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না
ঘটনাস্থলে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ পৌঁছালেও হয়নি সমস্যার সমাধান। সারা গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের তার। তবে সেসবই ছেঁড়া, যত্রতত্র ঝুলছে। ফলে যেকোনও মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ দফতর জেনে সুনেও নির্বিকার বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনা সম্পর্কে চিঠি লিখেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা নিয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের। শুধু তাই নয়। হিন্দু মুসলিম এর একত্রে বসবাস করা এই গ্রামে শুক্রবার বিকেলে ব্যাপক ভিড় হয়। সকাল বেলায় তার ছিঁড়ে পড়ায় বিপদ থেকে বেঁচেছে একজন। কিন্তু বিকেলে হলে ভয়ংকর ঘটনা ঘটত। বার বার একই কান্ড হওয়ার পরেও হুশ নেই বিদ্যুৎ বিভাগের। তাই প্রশাসনের সামনেই আটকে রাখা হয় বিদ্যুৎ বিভাগের মত ইমার্জেন্সি গাড়িকে।
অপর দিকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা যুবক জানান , সকালে দোকান খুলতেই হঠাত ১১ হাজার ভোল্টের তার মাথার পাশে ছিঁড়ে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। গোটা গ্রাম জুড়ে ঝুলে রয়েছে এরকম তার। বারবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। অন্ধকার হয়ে পড়ে এলাকা। তবু জোড়াতালি দিয়েই কাজ হয়।