সংক্ষিপ্ত
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দা ধনঞ্জয় দাস। তিনি পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল ফলতার দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা বছর তিরিশের এক যুবতীর সঙ্গে।
স্বামী উভকামী (Bisexual)। কিন্তু, বিয়ের (Marriage) আগে সেকথা জানতেন না স্ত্রী (Wife)। এদিকে বিয়ের আগে ভাই পরিচয় দিয়ে নিজের পুরুষ প্রেমিককে (Husband's Male Boyfriend) বাড়িতেই রেখেছিলেন যুবক। আর বিয়ের পর স্ত্রীকে নিজের প্রেমিকের (Lover) সঙ্গেও সহবাস করতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা গৃহবধূর শিক্ষক স্বামীর (sexually abuses wife) এমন কীর্তি প্রকাশ্যে আসতে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour Municipality) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সুবিচারের আশায় পুলিশের (Police) দ্বারস্থ ওই গৃহবধূ।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দা ধনঞ্জয় দাস। তিনি পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল ফলতার দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা বছর তিরিশের এক যুবতীর সঙ্গে। মাত্র ৮ মাস আগেই তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে সব কিছু ঠিকই ছিল। সে সময় শুভঙ্কর সানা নামে ধনবেড়িয়া এলাকার এক যুবককে নিজের ভাই পরিচয় দিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। যুবতীও তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর থেকেই বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি। জানতে পারেন নিজের শিক্ষক স্বামী সম্পর্কে একাধিক অজানা তথ্য। যা তাঁর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন- আজ দোলের জন্য কমানো হয়েছে কলকাতা মেট্রোর সংখ্যা, জানুন কতক্ষণ পাবেন পরিষেবা
বিয়ের পর জানতে পারেন তাঁর স্বামী উভকামী। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামীর প্রেমিক ও স্বামী এক সঙ্গে ওই গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন করত। স্বামী ও তাঁর প্রেমিক একসঙ্গে বিছানায় তাঁকে যৌন নির্যাতন করত। যা তাঁর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাশবিক অত্যাচার থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। প্রথমে ভূষণা মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হন। এরপরই বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ।
আরও পড়ুন, দোলের সকালে পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম কলকাতায়, বেরোনোর আগে জ্বালানীর দর দেখুন একনজরে
ইতিমধ্যেই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ,বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছেন মহিলা সমিতির সম্পাদক রামিয়া সিপাই এবং ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন। অরুময় বলেন, "যে পাশবিক অত্যাচারের কথা নির্যাতিতা জানিয়েছেন তা নির্মম এবং অমানবিক। আমি চাই অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।" যদিও স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধনঞ্জয়। জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এমনকী, স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, দোলের সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজ্যের জেলা, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস