সংক্ষিপ্ত

চন্দনা সরকার বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন ভাঙা পা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন আর তখন আমাদের ব্লকের কিছু নেতা মজা করার জন্য সাত মাস ধরে বাইরে ছিল।

প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে আইসি বিডিওকে হুমকি। জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) ট্রান্সফার (transfer) করে দেওয়ার হুমকি দিলেন (threatens) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) চন্দনা সরকার (Chandana Sarkar)। আর এই হুমকি ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। পয়লা জানুয়ারি মালদহের বৈষ্ণবনগরের মাঠে ৫০ মিটার দূরত্বে দুটি পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। একদিকে মঞ্চে ছিলেন কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। অন্যদিকে আর এক মঞ্চে ছিলেন বৈষ্ণবনগর তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। আর এই নিয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ক্ষোভ উগড়ে দেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক। বৈষ্ণবনগর থানার আইসি ও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বিডিওকে জঙ্গলমহলের ট্রান্সফার করার হুমকি দেন তিনি। 

চন্দনা সরকার বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন ভাঙা পা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন আর তখন আমাদের ব্লকের কিছু নেতা মজা করার জন্য সাত মাস ধরে বাইরে ছিল। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিল যাতে বিজেপি সরকার আসে। এখন ওরা আসল তৃণমূল সাজার জন্য সভা করছে। মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জবাব দেবে। বিডিও সাহেবকে দেখে মনে হচ্ছে উনি বিক্রি হয়ে গেছেন। আমি এই মঞ্চ থেকে বলতে চাই, ৮ দিন আগে এই প্রোগ্রাম করার জন্য আমরা অনুমোদন নিয়েছি। তা সত্ত্বেও কেন বিডিও সাহেব, আইসি সাহেব এখানে অন্য অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেন। আমি যদি মনে করি এক মাসের মধ্যে বিডিও আইসিকে এখান থেকে হটিয়ে দিতে পারব। আরো অনেক জায়গা ছিল এখানে কেন অনুমতি দিয়েছেন আইসি সাহেব। উনি কি মজা দেখছেন। কিসের জন্য ওই চেয়ারে বসে আছেন। আমরা মনে করলে এক মাসের মধ্যে ওনাকে জঙ্গলমহলে পাঠিয়ে দেব। 

এই বিষয়ে চন্দনা সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ট্রান্সফার করবো বলেছি তার পেছনে কারণ আছে। বিডিও আইসি একটা চেয়ারে বসে আছেন। বিডিওর কাছে প্রোগ্রাম করার জন্য আমরা অনুমতি চেয়ে ছিলাম। সাত দিন আগে তিনি সেই অনুমতি দিয়েছিলেন। ওখানে গিয়ে দেখলাম আরেকটা প্রোগ্রাম হচ্ছে। তারা চেয়ার হোল্ড করছে আর বসে মজা নেবে সেটা হয় না। একই মাঠে দুটো প্রোগ্রাম করতে দেওয়া উচিত নয়। এটা সাধারণ মানুষের কাছে খারাপ বার্তা নিয়ে গেছে যে একই মাঠে একই দলের দুটো সভা কি করে হয়। 

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, বিধায়ক ওআইসি দুজনেই প্রশাসনের অঙ্গ। তাদের সদ্ভাব থাকা উচিত। বিষয়টি আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পার্থসারথী ঘোষ দক্ষিণ মালদার বিজেপির সভাপতি বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।