সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়ার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বৃষ্টি, দমকা হাওয়ার মাঝেই শহর এবং জেলা জুড়ে বীরবিক্রমে ফাটল শব্দবাজি।
আবহাওয়ার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বৃষ্টি, দমকা হাওয়ার মাঝেই শহর এবং জেলা জুড়ে বীরবিক্রমে ফাটল শব্দবাজি। নিউ ব্যারাকপুর-মধ্যমগ্রামের বাসিন্দারা জানান, কালীপুজোয় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই থেকেই শব্দ শোনা গিয়েছে যথেষ্ট। রাত বাড়তেই বাজির শব্দ মিলেছে রাজ্যের প্রায় সব জেলায়। যদিও, নাগরিকরা বলছেন, অন্যান্য বছরের থেকে মহানগর এবং জেলায় শব্দবাজির তাণ্ডব এবছর কালীপুজোর রাতে কিছুটা কম মনে হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, দক্ষিণ বঙ্গের বহু জেলায় এ দিন সারাদিন জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে বলে বাজির দাপট প্রথমে কম ছিল। তবে বৃষ্টি থামতেই শুরু হয়েছে শব্দবাজির দাপট।
দেখা গেছে, বৃষ্টির দাপটে কলকাতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজির বেগতিক কম ছিল। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি একটু কমতেই বিভিন্ন এলাকায় বাজি ফাটানো শুরু হয়। রাত সাড়ে এগারোটার সময় সল্টলেকে সব্যসাচী দত্তের কালীপুজোর সামনে রাস্তায় দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, বড়বাজার, কাশীপুর, সিঁথি, বেলেঘাটা, কসবা, যাদবপুরে বাজির দাপট বেশি ছিল। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ১৬০ কিলোগ্রাম বেআইনি বাজি আটক করেছে লালবাজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৭ জনকে। পথে নেমেছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দল। তারা আলাদা ভাবে ৬০টি বাজি ফাটানোর ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে।
নির্দিষ্ট শব্দমাত্রার বাজি ফাটানো যাবে রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে। তার বাইরে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে আদালত। তবে সেই নিষেধ যে কেবল প্রশাসনের খাতায়-কলমে রয়ে গিয়েছে, তার প্রমাণ সোমবার মিলেছে। সন্ধ্যা ৭টায় পরিবেশকর্মী সংগঠন সবুজ মঞ্চের কলকাতার মূল কন্ট্রোল রুমে ঘনঘন ফোন আসছে। সংগঠনের সম্পাদক নব দত্ত জানান, ৬টার পর থেকে মূলত গরফা, বেহালা, কসবা থেকেই অভিযোগ মিলেছে। নাগরিকদের অভিযোগ, টালা, কেষ্টপুরেও রাতে দেদার শব্দবাজি ফেটেছে।
এ বার অবশ্য শুধু ৯০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রার শব্দবাজি নয়, পরিবেশবান্ধব শংসাপত্রহীন আতশবাজিও নিষিদ্ধ করেছে কোর্ট। তবে পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, ‘গ্রিন’ বাজি কার্যত তকমাতেই সীমাবদ্ধ। শুধু ভুয়ো তকমা সাঁটা আতশবাজি নয়, কার্যত কোনও তকমাহীন বাজিই পথেঘাটে ঢেলে বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ, দূষিত আতশবাজি ধরতে পুলিশ-প্রশাসনের সেই সক্রিয়তা চোখে পড়েনি।
তবে অনেকেই বলছেন, এ বার দূষণের ছবিটা সে ভাবে হয় তো ধরা পড়বে না। কারণ, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বাতাসের ভাসমান ধূলিকণা অনেকটাই ধুয়েমুছে সাফ হতে পারে। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, “বৃষ্টিতে দূষণ ধুয়ে যাওয়ার পরে সেই তথ্য দেখিয়ে যদি পরিবেশ দফতরের কর্তারা সাফল্যের দাবি করেন, অবাক হব না।” আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তার ফলে বাজি ফাটানোয় বৃষ্টির বাধা থাকবে না।
আরও পড়ুন-
নন্দীগ্রামে বিজেপি ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট ২ নেতা, শুভেন্দুর গড়ে কি এবার দুর্বল হয়ে পড়বে গেরুয়া শিবির?
বাংলাকে সহজে দখল করা যাচ্ছে না বলেই ভাগ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে বিজেপি, মত তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায়ের
ছুটির দিনে খোশ মেজাজে অভিষেকের গড়ে শুভেন্দু অধিকারী, সূচনা করবেন কালীপুজোর উৎসব