সংক্ষিপ্ত
ভয়াবহ ভাঙ্গনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের তরফে অবৈধ বালি খননে সক্রিয় জলদস্যুরা। চোখের সামনেই চলছে প্রকাশ্যে এমন ঘটনা বলে অভিযোগ এপারের স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শিউরে ওঠা কান্ড। শুখা মরশুমেই ভারত ভুখন্ডের মুর্শিদাবাদে পদ্মার পাড় জুড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের তরফে অবৈধ বালি খননে সক্রিয় জলদস্যুরা। চোখের সামনেই চলছে প্রকাশ্যে এমন ঘটনা বলে অভিযোগ এপারের স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার জেরে মুর্শিদাবাদের বিলবোরাকোপরা সহ তারানগর এলাকার মানুষজন ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়ছে।
এদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত ঘেঁষা জিরো পয়েন্টে অবৈধ বালি খনন চলতে থাকায় কেবল একদিনেই প্রায় ২৫০ মিটারের অধিক এলাকা জুড়ে ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে নদী গর্ভে । ভাঙন এখন ধেয়ে আসতে শুরু করেছে এলাকার বসত ভিটা গ্রাস করতে। তাতেই আতঙ্কিত মানুষ জন বাড়ির জিনিস পত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ।
স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলী বলেন, “আমাদের কাছে খবর বাংলাদেশের বালির চর থেকে বিপুল পরিমাণে বালি তোলা হচ্ছে। তার ফলেই এই এলাকায় ভাঙন ভয়ঙ্কর ভাবে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের ইঞ্জিনিয়াররা এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন।ওই সমীক্ষা অনুযায়ী দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা যাবে"।
এলাকার বয়রা,তারানগর, রাধাকৃষ্ণপুর মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙনের ভ্রূকুটি প্রতিমুহূর্তে বেড়ে চলেছে। ঐ এলাকার নদী পাড় থেকে জল স্তর প্রায় ২০ ফিট নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আর জলের গভীরতাও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফিট মতো ।ফলে জলের ধাক্কায় জলস্তর বরাবর মাটি ক্ষয়ে যাওয়ার কারনে উপরের সমতল ভূমি বসে গিয়ে আচমকা ভেঙে পড়ছে। এই ব্যপারাটি অত্যন্ত মারাত্মক বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রবীন নাগরিক ইন্তাজ শেখ ,আব্দুর রহিম।
তাদের দাবি, “অভিজ্ঞতা ছাড়া বাইরে থেকে আসা মানুষ বুঝতেই পারবেন না , তলায় তলায় মাটি খেয়ে একসময় নিমিষের মধ্যে পদ্মা তলিয়ে নিচ্ছে চাষের জমি।” বেশ কিছু বছর আগে এলাকার বাগান,বাড়ি, উচ্চ বিদ্যালয়, বিএসএফ ক্যাম্প সহ কয়েক শো বিঘা ফসলি জমি বিলিন হয়ে গিয়েছে পদ্মা গর্ভে। পরবর্তীতে বয়রা, শেখালিপুর বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর সময় এলাকার বাসিন্দারা ভাঙন প্রবণ এই এলাকা বাঁধায়ের দাবি তুলেছিলেন।
তারা বলছেন, ওপার বাংলা থেকে দিনে দুপুরে জলদস্যুরা ড্রেজার এর মাধ্যমে পাড় বরাবর বালি খনন করে নিয়ে যাচ্ছে, এর ফলে মারাত্মকভাবে আলগা হয়ে পড়ছে তলের মাটি, মুহূর্তের মধ্যে বড় বড় মাটির মাটির চাই পদ্মা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত ঐদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে এইভাবে পদ্মার পাড় বরাবর অবৈধ বালি খনন বন্ধ করা। নাহলে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে জনপদ"।