সংক্ষিপ্ত

মূলত হাজারদুয়ারি কেন্দ্রিক জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষে এই অনুষ্ঠানের যৌথ ভাবে আয়োজন করেছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা ও মুর্শিদাবাদ পুলিশ প্রশাসন। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার কে সবরি রাজকুমার এবং বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায়।

রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে (Tourist Map) মুর্শিদাবাদকে নতুন মোড়কে তুলে ধরতে নেওয়া হল উদ্যোগ। পর্যটন শিল্পের বিস্তারে অভিনব “চল যাই মুর্শিদাবাদ” নামাঙ্কিত অনুষ্ঠানের চালু হল মুর্শিদাবাদ শহরের কেল্লা নিজামতে। এমন উদ্যোগে রীতিমতো শহরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহিরাগত পর্যটকেরা সকলেই উচ্ছ্বসিত। 

মূলত হাজারদুয়ারি (Hazarduari) কেন্দ্রিক জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষে এই অনুষ্ঠানের যৌথ ভাবে আয়োজন করেছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা ও মুর্শিদাবাদ পুলিশ প্রশাসন। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার কে সবরি রাজকুমার এবং বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায়। জেলা শাসক বলেন, “পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসারে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার অন্যতম চল যাই মুর্শিদাবাদ। এর ফলে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বাইরের মানুষ বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন এবং মুর্শিদাবাদের বিষয়ে আগ্রহ বাড়বে।” 

এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে লালবাগ মহকুমা পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুরিস্ট ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার ও মুর্শিদাবাদ পুরসভার উদ্যোগে ট্যুরিস্ট ভলেন্টিয়ার গড়ে তোলা হয়। করোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় জেলার পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে হাজারদুয়ারিকে কেন্দ্র করে জেলার পর্যটন ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য পর্যটন দফতর যেমন আগ্রহ প্রকাশ করেছে তেমনই তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলেও। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ভাগীরথী পাড়ের কেল্লা নিজামত অর্থাৎ ওয়াসেফ মঞ্জিল এলাকায় উদযাপিত হল পর্যটন মরশুম। 

ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে দেশ ও দেশের বাইরের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয় টাঙ্গা চালক ইউনিয়ন, মুর্শিদাবাদ পর্যটক সহায়তা কেন্দ্র, সিটি মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী সমিতি, নৌকা চালক ইউনিয়ন, হোটেল ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে শহর জুড়ে একটি র‍্যালির আয়োজন করা হয়। পরে জেলা পুলিশ সুপার কে সবরি রাজ কুমার বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ বিশেষ নজর দারি চালাবে। এছাড়া কোনও পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া হবে।” এছাড়া অন্তত পক্ষে পর্যটন মরশুমে হাজারদুয়ারি এলাকায় জেলার সমস্ত রকম হস্ত শিল্প, রেশম শিল্পের ভান্ডার নিয়ে একটি স্টল গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন শাওনী সিংহ রায়।