সংক্ষিপ্ত

এদিন পরিদর্শনের পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ দল রাজ্য সরকার এবং এয়ারপোর্ট অথরিটির উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানে থাকা সমস্যা কীভাবে কাটানো সম্ভব ও সেখানে কত আসনের বিমান চালানো যেতে পারে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সক্রিয় হতেই মালদহ বিমানবন্দরে (Malda Airport) নিয়মিত উড়ান চালুর তৎপরতা শুরু হল। সোমবার মালদহে এসে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (Airport Authority of India) বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দল (Delegate Team)। এখনই এখানে যা পরিকাঠামো রয়েছে তাতে মালদহ বিমানবন্দর থেকে ১৯ আসনের নিয়মিত উড়ান (Flight) চালানো সম্ভব রয়েছে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪২ বা ৯০ আসনের বিমান চালানোর জন্য মালদহ বিমানবন্দরে পরিকাঠামোগত কিছু উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে রানওয়ের দৈর্ঘ্য আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

এদিন পরিদর্শনের পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ দল রাজ্য সরকার (State Government) এবং এয়ারপোর্ট অথরিটির উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানে থাকা সমস্যা কীভাবে কাটানো সম্ভব ও সেখানে কত আসনের বিমান চালানো যেতে পারে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া নিয়মিত উড়ান চালুর জন্য মালদহ বিমানবন্দরে ডিজিসিএ-র লাইসেন্সও পেতে হবে। 

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকে বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ বিমানবন্দরে বেশকিছু ফাঁকা জমি রয়েছে ফলে রানওয়ে আরও বাড়ানো সম্ভব বলেও বৈঠকে জানিয়েছিলেন তিনি। এতে জেলার প্রতি বিভিন্ন মহলে আগ্রহ তৈরি হবে বলে জানান। আর তারপর কয়েকদিন যেতে না যেতেই ওই বিমানবন্দর পরিদর্শনে এলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) ধনঞ্জয় তিওয়ারি। আর তাঁর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দল মালদহ বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা।

এই মুহূর্তে মালদহ বিমানবন্দরে প্রায় ১১০০ মিটার তৈরি রানওয়ে রয়েছে। তবে রানওয়ের দুইপ্রান্তে ইলেকট্রিক টাওয়ার, বহুতল প্রভৃতির কারণে রানওয়ের সম্পূর্ণ অংশ নিয়মিত ব্যবহারের উপযুক্ত নয় বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এজন্যই বড় বিমান নামতে হলে রানওয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া পার্কিং, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কিছু পরিকাঠামোগত উন্নতি প্রয়োজন রয়েছে এই বিমানবন্দরে। তবে সবটাই নির্ভর করবে কত আসনের বিমান চালু হবে সে সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর। 

এদিন বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। যদিও বিমান চালুর বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এয়ারপোর্ট অথরিটি বা জেলা প্রশাসনের কর্তারা।