সংক্ষিপ্ত
যুব সমাজকে দিশা দেখিয়ে ক্রীড়ামুখি করে তুলতে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক মহম্মদ আলীর বিশেষ উদ্যোগ। তৈরি হয়েছে 'লালগোলা ব্লক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন'।
ইন্দো- বাংলা সীমান্তের একাধিক সমস্যা ও মোবাইল গেমের প্রতি আসক্তির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত। এর ফলে খেলার ময়দানগুলি(Field) ফাঁকা হতে হতে একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে যুব সমাজকে (Youth) দিশা দেখিয়ে ক্রীড়ামুখি করে তুলতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিধায়ক মহম্মদ আলীর (Md.Ali) বিশেষ উদ্যোগ। তৈরি হয়েছে 'লালগোলা ব্লক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন'। সেইমতো আগামী দিনে লালগোলা এম এন একাডেমি ময়দানে এলাকার ক্লাবগুলিকে নিয়ে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সূচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, লালগোলা ফুটবল লিগ-২০২১ও অনুষ্ঠিত হবে। এই ব্যাপারে আলী সাহেব বলেন, যুব সমাজ এলাকার উন্নয়নের মূল কাণ্ডারি। অথচ একাধিক কারনে তারা এখন বিভ্রান্ত। মূলত খেলাধূলার মাধ্যমে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং ময়দানগুলিকে উজ্জীবিত করতে এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। তবে শুধু ফুটবল নয়, সারা বছর যাতে মাঠে ছেলে মেয়েরা যেতে পারে তার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে"।
মাদক কারবারের শিরোনামে দেশের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে লালগোলা। মূলত হেরোইনের নেশায় এলাকার যুব সমাজ বিপন্ন ।আবার কম পরিশ্রমে সহজেই অর্থ উপার্জনের হাতছানিতে বিপথ গামী হচ্ছে এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে মাদক মুক্ত লালগোলা গড়তে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদিকে এলাকায় সুস্থ সমাজ গড়তে স্থানীয় বিধায়কের সদিচ্ছা দেখে মুগ্ধ বাসিন্দারা।
এরই মধ্যে বিধায়কের উদ্যোগে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে লালগোলা ব্লক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠন নাগরিক জীবন তো বটেই যুব সমাজকেও উচ্ছ্বাসিত করেছে। বর্তমান ফুটবল লিগ ব্লকের ৯টি দল অংশ গ্রহন করেছে। এই লিগ চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ব্লকের বিভিন্ন ময়দানে ঘুরে ঘুরে এই লিগের খেলা চলবে। কোনও দলই ব্লকের বাইরের খেলোয়াড় আনতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে।
ক্যাম্পে আচমকাই গুলি চালাল জওয়ান, মৃত্যু চার সিআরপিএফ কর্মীর
Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও
এই ব্যাপারে গামীলা নবীন সংঘের সম্পাদক তৌসিফ জামাল, প্রাক্তন ফুটবলার তরুণ কুমার মন্ডল বলেন, “এই কর্মকাণ্ডের ফলে ব্লকের ক্রীড়া মহলে একটা উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে যুব সমাজ যেমন উদ্বুদ্ধ হবে তেমনি প্রাণ চঞ্চলতায় মেতে উঠবে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ময়দান গুলি।”
সাধারণ বাসিন্দারা জানান, "একদিকে অতিমারি পরিস্থিতিতে এমনিতেই যুবসমাজ মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে মোবাইল আর ইন্টারনেটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় নেশার জগতের বিস্তৃতি থাকায় সেখানেও তারা জড়িয়ে পড়ছে। এইরকম বিপদজনক মুহুর্তে যুবসমাজকে খেলার মধ্যে দিয়ে মাঠমুখী করে তোলার উদ্যোগকে আমরা কুর্নিশ জানাচ্ছি এবং আগামী দিনে সমস্ত রকম সহযোগিতাও করবো।