সংক্ষিপ্ত
চার যুবককে ধূমপান করতে দেখে প্রথমে তাতে আপত্তি জানান বাসের মহিলা যাত্রীরা। কিন্তু, মহিলাদের আপত্তিতে গুরুত্ব দেয়নি ওই চার যুবক। বরং নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিল।
যাত্রী বোঝাই বাসের (Passenger Bus) মধ্যেই শুরু করেছিলেন ধূমপান (Smoking)। তার প্রতিবাদ করে বেধড়ক মার (Beaten) খেলেন এক পুলিশ কর্মী (Police)। জখম অবস্থায় চিকিৎসার (Treatment) জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Nanoor Prathomik Shastho Kendro)। পরে নানুর থানায় (Nanoor Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার (Arrest) হয়নি। আর তার জেরেই হতাশ আক্রান্ত পুলিশ কর্মী।
জানা গিয়েছে, জখম পুলিশ কর্মীর (Injured Police) নাম মহম্মদ শাহজাহান। তাঁর বাড়ি নানুর থানার বালিগুনি গ্রামে। তবে তিনি সদাইপুর থানায় এনভিএফ পদে কর্মরত। বোলপুর হাসপাতালে তাঁর এক আত্মীয় ভর্তি ছিলেন। সেই আত্মীয়কে দেখতে বোলপুর গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ওই আত্মীয়কে দেখে রবিবার দুপুরে বোলপুর-কাটোয়া বাস ধরে নানুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই বাসেই চার যুবক ওঠে। তবে তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে বাসে উঠেই মোহনপুর গ্রামের কাছে তারা যাত্রী বোঝাই বাসের মধ্যেই ধূমপান করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন- নিকাশির নামে বরাদ্দ টাকা উধাও, জলের তলায় বিঘার বিঘা জমি
চার যুবককে ধূমপান করতে দেখে প্রথমে তাতে আপত্তি জানান বাসের মহিলা যাত্রীরা। কিন্তু, মহিলাদের আপত্তিতে গুরুত্ব দেয়নি ওই চার যুবক। বরং নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিল। এরপর এর প্রতিবাদ করেন পুলিশ কর্মী মহম্মদ শাহজাহান। অভিযোগ, তখন চলন্ত বাসের মধ্যেই তাঁকে চারজন মিলে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চশমা, মোবাইল ও হেডফোন ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিন বন্ধ আইসোলেশন ওয়ার্ড, দায়িত্ব নিয়েই খোলার নির্দেশ সিএমওএইচ-এর
এমনকী, পুলিশ কর্মী পরিচয় দেওয়ায় তাঁকে আরও বেশি করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই ওই বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় চার অভিযুক্ত। এদিকে জখম অবস্থায় নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় শাহজাহানকে। পরে নানুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্ত চার যুবক নানুরের সাওতা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, পুলিশ এখনও তাদের গ্রেফতার না করায় হতাশ মহম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, “সরকার প্রকাশ্যে ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রী বোঝাই বাসের মধ্যে ওরা ধূমপান করছিল। মহিলারা প্রতিবাদ করলে তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি একজন পুলিশ কর্মী হয়ে চুপ করে থাকতে পারিনি। তাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। তার পরিবর্তে মিলল মারধর। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও তার বিচার পেলাম না। এখনও অভিযুক্তরা ধরা পড়ল না।”
আরও পড়ুন- মেয়ের বিয়ের চিন্তায় ঘুম উড়েছিল, অসহায় বৃদ্ধার পাশে তৃণমূল নেতা