সংক্ষিপ্ত

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আজই রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই টুইট করেন রাজ্যপাল। সেই টুইটে তিনি লেখেন, "সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি ও আইনের শাসনকে ব্লক করা যায় না। সংবিধানের ১৫৯ অনুচ্ছেদে এটা বলা আছে।"

প্রচণ্ড 'বিরক্ত' হয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে আজ নিজেই সেকথা জানিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই কথা ঘোষণার পরই দুটি টুইট (Tweet) করেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি লেখেন, 'সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি ও আইনের শাসনকে ব্লক করা যায় না।'

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট (Twitter Account) থেকে আজই রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই টুইট করেন রাজ্যপাল। সেই টুইটে তিনি লেখেন, "সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি ও আইনের শাসনকে ব্লক করা যায় না। সংবিধানের ১৫৯ অনুচ্ছেদে এটা বলা আছে। দেশের সংবিধানের উপর আস্থা রাখা উচিত দায়িত্বপ্রাপ্তদের।"

সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “তবে আমি বাধ্য হয়ে একটা কাজ করেছি। আমি দুঃখিত এর জন্য। এর জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। উনি প্রতিদিন একটি করে টুইট করেন। কখনও অফিসারদের গালাগালি দিয়ে, কখনও আমাকে গালিগালি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ তুলে, অসাংবিধানিক কথাবার্তা, অনৈতিক কথাবার্তা বলেন। আমাদের নির্দেশ দিতেন ওনার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। পরামর্শ নয়, ওনার নির্দেশ অনুযায়ী চলতে বলতেন। তার মানে, আমরা ওনার চাকর-বাকর আর কি!”

আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ, বিধিনিষেধে ছাড় একাধিক ক্ষেত্রে

আরও পড়ুন- রাজ্যের গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপালকে সরানো হোক, সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন সুদীপের

আরও বলেন, "প্রতিদিন অফিসারদের ডেকে পাঠাচ্ছেন। এটা উনি পারেন না। উনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারেন। সরাসরি যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে আর সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি শুনেছি, আদালত থেকে শুরু করে আয়কর, ইডি থেকে শুরু করে সিবিআই, কাস্টমস থেকে শুরু করে কলকাতা সিপি, ডিসি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। উনি নিজেকে কী ভাবেন! বাংলার মানুষ মাথা নত করে চলে না।”

আরও পড়ুন- 'বারবার বিরক্ত করছিলেন', 'বাধ্য হয়ে' রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মমতার ঘোষণার পরই দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল। তবে এর আগে তিনি যে সব টুইট করেছেন সেখানে কোনও না কোনও ব্যক্তিকে ট্যাগ করতেন। কিন্তু, এই প্রথমবার কাউকে টুইট করেননি তিনি। এই ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তিনি টুইটারে লেখেন, সাংবিধানিক রীতিনীতিকে ব্লক করা যায় না। ১৫৯ ধারা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, এই ধরনের ঘটনা ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী। আরেকটি টুইট করেন ৫টা ৪৫ মিনিটে। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৭ ধারা তুলে ধরেন সেখানে। লেখেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে রাজ্যপালকে জানানো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কেন রাজ্য সরকার দু’ বছর ধরে সমস্ত তথ্য় ‘ব্লক’ করে রেখেছেন, জানতে চান রাজ্যপাল।