সংক্ষিপ্ত

যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে নিকটবর্তী হাসপাতাল ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সদর সদর হাসপাতাল থেকে ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে।

বর্ষ শুরুতেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে বাংলার বুকে। বৃহঃস্পতিবার বিকালে শিলিগুড়ির কাছে ময়নাগুড়িতে (Maynaguri in Siliguri) উল্টে গেল ১৫৩৬৬ আপ পাটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস (1536৬ Up Patna-Guwahati Bikaner Express)। তাতেই নতুন করে শোকের ছায়া নেমে এল বাংলার বুকে। ইঞ্জিনের পর থেকে মোট ১২ থেকে ১৩টি বগি বেলাইন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুরুতে হতাহতের সংখ্যা বোঝা না গেলেও ইতিমধ্যেই এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ থেকে ১২ জন আহতকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধার কাজ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে এদিন বিকালে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-মমতা বৈঠক (Modi Mamata meeting) চলালালীন দুর্ঘটনার খবর পেতেই খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। পরিস্থিতি কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তা জানান চেষ্টা করেন তিনি।

এদিকে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জলাপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিত গোদারা (Jalpaiguri District Magistrate Moumita Godara) বলেন, হতাহতের মধ্যে ৩ জনের ডেডবডি উদ্ধার করা গিয়েছে। আহত ১২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে হেলথ টিমকে পাঠানো হচ্ছে দুর্ঘটনা স্থলে। সন্ধ্যে হয়ে আসার কারণে জেনেরেটেরের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের সমস্ত ডিপার্টমেন্ট এগিয়ে এসেছে উদ্ধারকাজের জন্য।”   এদিকে যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে নিকটবর্তী হাসপাতাল ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সদর সদর হাসপাতাল থেকে ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ময়নাগুড়ি জেলা হাসাপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে প্রথামিক সেবার জন্য। তবে সেখানে যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় গুরুতর আহতের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- বালি পৌরসভার নতুন আসন বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ জেলা শাসকের, বিতর্কের মাঝেই এক্তিয়ার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

এদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে কড়াকড়ি থাকার কারণে কিছু অসুবিধা হলেও ইতিমধ্যেই অন্যান্য জেলা থেকেও জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার নার্সদের নিয়ে আসা হচ্ছে জলাপাইগুড়িতে। এদিকে সন্ধ্যা হওয়ার কারণে এলাকায় জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে রেলের মালহদ ডিভিশন, কাটিহার ডিভিশনের। নেওয়া হচ্ছে টেকনিক্যাল সাপোর্ট। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিকে কেটে উদ্ধার কাজের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখও পর্যন্ত ক্রেন এসে না পৌঁছানোয় উদ্ধারকাজে বিশেষ গতি আসছে না বলে খবর। তবে শুরু থেকেই জোরকদমে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।