সংক্ষিপ্ত
গত ৯ তারিখে দলীয় প্রার্থী ২৬ নম্বরের সন্ধ্যা দাসের সমর্থনে তিনি এসেছিলেন বিমান ঘোষ। সেই সময় বিধিভঙ্গের দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর এদিন আবার বিজেপি বিধায়ককে দেখা গেল তালডাঙ্গা এলাকায়।
চন্দননগরে অতিমারি আইন ভেঙে নির্বাচনী প্রচার করায় দুদিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ (Purshura MLA Biman Ghosh)। যদিও পরে পেয়ে যান জামিনও। এমতবস্থায় এদিন ফের চন্দননগর কর্পোরেশনের ভোটে (vote of Chandannagar Corporation) আবার প্রচারে এলেন বিমান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ তারিখে দলীয় প্রার্থী ২৬ নম্বরের সন্ধ্যা দাসের সমর্থনে তিনি এসেছিলেন তিনি। সেই সময় বিধিভঙ্গের দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর এদিন আবার বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLA) দেখা গেল তালডাঙ্গা এলাকায়। ভোট প্রচারে এসে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি অনুন্নয়ন নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই উগড়ে দিলেন ক্ষোভ। পাশাপাশি এই এলাকায় বরাবরই ডেঙ্গুর প্রকোপ (Outbreaks of dengue) দেখা যায়। যদিও এই জন্যও তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার দাবি পৌর প্রতিনিধিরা সঠিক ভাবে এলাকার দেখভাল না করার কারণেই অপরিচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
এদিন এলাকায় কার্যত অভিনব কায়দায় ভোট প্রচার করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এদিন বিমানের অভিনব প্রচার শুরু হয় মশারি নিয়ে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই বিমানের এই কর্মসূচি বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এদিকে এদিন বিমানের সঙ্গে প্রচারে ছিলেন আসন্ন পুরভোটে এলাকার প্রার্থী গোপাল চৌবে। এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিজেপ বিধায়কে বলতে শোনা যায়, “এখানে ড্রেনিং ব্যবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে জল জমে প্রতি বছর মশা মাছির উপদ্রপ বাড়ে। এদিকে ডেঙ্গু যে বাড়ছে সেদিকে কারও কোনও খেয়ালই নেই। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা এলাকাবাসীর কাছে দাবি জানাচ্ছি আগামীতে স্বচ্ছ ওয়ার্ড পেতে,দুর্নীতি রুখতে পদ্ম ফুল চিহ্নে গোপালদাকে ভোট দিন।”
আরও পড়ুন-আশঙ্কা সত্যি করে গঙ্গাসাগরই কী হচ্ছে সুপার স্প্রেডার, ভিড় বাড়াচ্ছে চিন্তা
অন্যদিকে এদিনই আবার ওই এলাকায় মশা দমনে মাঠে নামতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে সতর্কও করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিমানে মন্তব্য, ওরা নাটক করছে। এতদিন সময় হয়নি, তাই এখন ভোটের বাজারে নাটক করতে মাঠে নেমেছে। এখানে তো ১০ বছর ধরে ওনারা রয়েছেন, এলাকার কী উন্নয়ন করেছেন? একটা স্টেডিয়াম সেই কবে থেকে হবে হবে করেও পরে রয়েছে। টাকা আসে যায় নেতাদের পকেটে ঢুকে যায়, কারও কোনও হেলদোল নেই।” যদিও বিমানের আক্রমণের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দিতে দেখা যায়নি শাসক দলের তরফে।