সংক্ষিপ্ত

এদিকে জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় আলু চাষের জন্য জমি তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছেন আলু চাষিরা। আলু চাষিদেরদের কাছে কৃষি দফতরের পরামর্শ জাওয়াদের দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর মাটি শুকোলে তবেই জমিতে আলুর বীজ বপন করুন। 

সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সফর। তার আগেই শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) প্রভাব নিয়ে কড়া সর্তকতা জারি হল মুর্শিদাবাদে। জেলা প্রশাসন (District Administration) ও কৃষি দফতরের পক্ষ থেকেই এই সতর্কতা জারি হয়েছে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিল জেলা কৃষি দফতর। 

এই ব্যাপারে জেলা কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু জানান, “যাঁরা এখনও ধান ঘরে তোলেননি তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব ধান ঘরে তুলে নিন। আলু চাষিরা দিন কয়েক অপেক্ষা করে আলুর বীজ জমিতে ফেলুন। আর সর্ষের তিসি যে সব জমিতে আছে ওই জমিতে নালা তৈরি করুন। যাতে জমিতে অতিরিক্ত জল জমে ফসলের ক্ষতি করতে না পারে।" জেলায় এখন আমন ধান কাটার কাজ চলছে। কেউ কেউ ওই ধান ঝাড়াই করছেন। কিন্তু জমিতে ধান থাকলে বৃষ্টির কারণে পাকা ধান জমিতে ঝরে যেতে পারে। তার ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কৃষকদের। এছাড়া বৃষ্টিরতে ধান পড়ে গিয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভনাও রয়েছে। 

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে জাওয়াদ, ২৪ ঘণ্টার জন্য হাওড়ায় খোলা হল কন্ট্রোল রুম

এদিকে জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় আলু চাষের জন্য জমি তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছেন আলু চাষিরা। আলু চাষিদেরদের কাছে কৃষি দফতরের পরামর্শ জাওয়াদের দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর মাটি শুকোলে তবেই জমিতে আলুর বীজ বপন করুন। কৃষি দফতরের পরামর্শে চাষিরা জমিতে কাজ শুরু করে দিলেও নবগ্রাম, রানীতলা এলাকায় বিস্তীর্ণ জমিতে আমন ধান কাটার পর জমিতে ছোট ছোট আঁটি করে তা মেলে রাখা হয়েছে। কেন না জমিতে ধান শুকোনোর পর তা ঝাড়াই করা হয়। ফলে সেই সব কৃষকরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। 

এই ব্যাপারে ধান চাষি কসিমুদ্দিন শেখ, রিয়াজুদ্দিন সরকারের মতো প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, “ধান না শুকোলে ধান গাছ থেকে ধান ঝরানো মুশকিল হয়। আবার শুকোনোর জন্য ধান কয়েক দিন জমিতে ভেজা অবস্থায় থাকলে সেখান থেকে অঙ্কুর বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” এবছর ধান চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকায় গত বছরের চেয়ে এবছর জেলায় অধিক ফলনের আশা করেছিল জেলা কৃষি দফতর। জাওয়াদ সেই আশায় জল ঢেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন- জাওয়াদ-আতঙ্কে আসানসোলবাসী, একমাত্র ভরসা ভগবান ইন্দ্র

এদিকে অসময়ের বৃষ্টি সর্ষে ও তিল চাষেও ক্ষতি করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওই সব চাষিদের নিদান দেওয়া হচ্ছে জমিতে ছোট ছোট বাঁধ দিয়ে অতিরিক্ত জল বার করে দেওয়ার। কোনও ভাবেই যাতে জমিতে জল জমতে না পারে সে দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এখন সকলেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন কীভাবে আগামী দিনে জাওয়াদের হাত থেকে ফসলগুলিকে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে।