সংক্ষিপ্ত

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই।

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। শনিবার ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন  এসডিপিও। তবে এদিন শুধু  এসডিপিও একা নন, ক্লোজ হওয়া ৫ জন পুলিশ কর্মী, মোবাইল টহলদারী ভ্যানের চালক, সিভিক ভলেন্টির গণেশ চন্দ্র গড়াই, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলের ভাইপো মিঠুন কান্দু, এবং এক প্রত্যক্ষদর্শীকে তলব করে সিবিআই।

এসডিপিও সুব্রত দেবকে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করে সিবিআই

এদিন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে  ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন  এসডিপিও সুব্রত দেব। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই। উল্লেখ্য তপন কান্দু খুনে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিট। ধৃতদের এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি সিটের হেফাজতে থাকা  তপন ও মিঠুন কান্দুরও মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। মোবাইল দুটি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্যে মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই ফরেন্সিক করাতে চায় সিবিআই। ধৃত আশিক খানের ধূপের ব্যবসা ছিল। সব জায়গায় ধূপ বিক্রি করতেন তিনি। যাদের ধূপ বিক্রি করতেন, এদিন ঝালদা হাটতলা বাজারে গিয়ে তাঁদের থেকে সিবিআই একাধিক তথ্য জোগাড় করে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। ঘটনাস্থলের ৩৬ টি সিসিটিভি ফুটেজের অধিকাংশ পায়নি সিবিআই।  ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই শুক্রবার অবধি ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী, একজন সিপিএম নেতা এবং তিনজন ব্যাঙ্ককর্মী সহ মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই।

আরও পড়ুন, 'বিজেপিকে হারালে জিনিসপত্রের দাম কমবে', শুভেন্দুর ভিডিও আপলোড করে 'রিটার্ন গিফট' কুণালের

গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

অপরদিকে, শুক্রবার রাতে ডিআইজি আধিকারিকদের নিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু-র বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ তোলেন স্ত্রী। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। এমনকি এনিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের মেয়ে।  এদিকে তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইসি-র নাম জড়ানোর পরপরই যে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এমনটাও নয়। তপন কান্দুর মৃত্যুর পর একের পর এক বিক্ষোভ এবং দাবির ভিত্তিতে শেষমেষ কাজ থেকে ক্ষণিকের বিরতি দেওয়া হয় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে। স্বাভাবিকভাবেই সিবিআই-র নজর থেকে বাদ যাননি ঝালদা থানার আইসিও।