সংক্ষিপ্ত
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ঘটনাস্থলের মাত্র ৪০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিল আরটি ভ্যান। খবর পৌছে যাওয়া সত্ত্বেও সেদিন গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কাউন্সিলরের কাছে দায়িত্বে থাকা সাব ইন্সপেকটর আরটি ভ্যান নিয়ে এগিয়ে যাননি।
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য। ঘটনার দিন রাস্তার উপর গুলিবিদ্ধ হন ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ঘটনাস্থলের মাত্র ৪০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিল আরটি ভ্যান। খবর পৌছে যাওয়া সত্ত্বেও সেদিন গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কাউন্সিলরের কাছে দায়িত্বে থাকা সাব ইন্সপেকটর আরটি ভ্যান নিয়ে এগিয়ে যাননি।ঘটনাস্থলে কাউকে পাঠাননি তিনি। এমনকি আরটি ভ্যানের কোনও সদস্য যাতে সেখানে না যান, তার জন্য শাসানি দেন বলেও অভিযোগ। ক্লোজ হওয়া পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞেস করছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে। হাতে এসেছে সেই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও।
সিবিআই জানাচ্ছে, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে, তাঁকে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত। সেক্ষেত্রে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যেদিন গুলিবিদ্ধ হন ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর, সেই সময় মাত্র ৪০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিল আরটি ভ্যান। পুলিশ ঘটনাস্থলের এতটাই কাছে ছিল যে, সেখানে গেলে দুষ্কৃতিদের হাতেনাতে ধরেও ফেলা সম্ভব হত। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ওই মুহূর্তে কর্তব্যরত এসআই কেন আরটি ভ্যান নিয়ে আসলেন না, এবং কাউকে আসতেও দিলেন না।
আরও পড়ুন, 'বিজেপিকে হারালে জিনিসপত্রের দাম কমবে', শুভেন্দুর ভিডিও আপলোড করে 'রিটার্ন গিফট' কুণালের
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জটিলতা আরও বাড়ল। কারণ আগে থেকেই কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ঝালদা থানার আইসি-র উপরে অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। আর এবার পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তার উপর এবার ঘটনাস্থলের কাছেই এসআই দাঁড়িয়ে থেকেও শুটআউটের পর এলেন না। আর এই ঘটনাই বড়সড় যোগসূত্র এনে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সিবিআই। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শনিবার ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন এসডিপিও সুব্রত দেব। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই। উল্লেখ্য তপন কান্দু খুনে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিট। ধৃতদের এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি সিটের হেফাজতে থাকা তপন ও মিঠুন কান্দুরও মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। মোবাইল দুটি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।