সংক্ষিপ্ত
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বীরভূমে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে বীরভূম জেলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী।
গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) পর বাতিল হচ্ছে না জয়দেবের মেলাও (Joydev Mela)। মকর সংক্রান্তিতেই হবে বীরভূমের (Birbhum) অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা। আজ মেলার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Sinha)। তবে করোনা বিধি মেনেই মেলা বসানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে (Corona Third Wave) রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বীরভূমে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে বীরভূম জেলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক আগেই বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ জানিয়েছিলেন, কেন্দুলি মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র জয়দেব নদীতে মকর স্নানের ক্ষেত্রে পুণ্যার্থীদের ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগরের নজরদারি কমিটি থেকে বাদ শুভেন্দু, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে ‘খুশি’ রাজ্য
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলা চালু রেখে জয়দেব মেলা বন্ধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটূক্তি শুরু হয়েছিল ঝড়ের মতো। এরপর মেলার ঐতিহ্যের কথা ভেবে সোমবার বোলপুরে তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বোলপুর মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক করা হয় জয়দেব মেলা নিয়ে। তারপরই মঙ্গলবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা মেলা করার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "জয়দেব মেলা যেমন হয় সেরকমই হবে কোভিড বিধি মেনে। পুণ্যার্থীদের জন্য স্নান ও পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। জয়দেবের ঐতিহ্যশালী মেলা। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে তো আমরা বন্ধ করতে পারব না। সেই জন্যই আমরা মেলা করতে বাধ্য হয়েছি। তাছাড়া পুণ্যার্থীরা আসবেন তাঁরা খাবেন কোথায়। তাই খাবার দোকান করা হবে। বাউল, কীর্তনের আখড়া থাকছে। এই মেলা আউল বাউলের মেলা বলে পরিচিত। ফলে তাদের মেলায় আসা আমরা বন্ধ করতে পারব না। তাদের আখড়ার ব্যবস্থা থাকছে। সব কিছুই হবে নিয়ম মেনে।"
আরও পড়ুন- মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার বাবুঘাটে মমতা, ঘুরে দেখবেন ট্রানজিট ক্যাম্প
মন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে মেলা চত্বরে আলো লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে আখড়া ও অস্থায়ী দোকান নির্মাণের কাজ। ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতি ইতিমধ্যে পুন্যার্থী সুবিধার্থে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোন পুন্যার্থীর সমস্যা হতে দেওয়া হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।