সংক্ষিপ্ত
কুণাল চাকরিপ্রার্থীদের বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে।
ধর্মতলায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ১০০০ দিনে পড়ল। এদিন এক মহিলা চাকরি প্রার্থী মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ জানান। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান রাজ্য সরকার যেন অবিলম্বে তাঁর মত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করে। এদিন ধর্মতলার আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও প্রথম দিকে তাঁকে ভালভাবে নেয়নি আন্দোলনকারীরা। তাঁকে দেখেই চোর চোর স্লোগান উঠতে থাকে। একপাটি জুতোও উড়ে আসে কুণালের দিকে। সেসব উপেক্ষা করেই তিনি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
কুণাল চাকরিপ্রার্থীদের বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। আর সেই কারণেই চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতেই পারেন।
কুণাল ঘোষ এদিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই সময় তিনি জানান, তিনি কারও কথায় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনমঞ্চে হাজির হননি। এক চাকরি প্রার্থীর মাথা কামিয়ে ফেলার বিষয়টি টিভিতে দেখেছিলেন। তারপরই সেখানে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কুণাল আন্দোলন মঞ্চ থেকেই চাকরি প্রার্থীদের অবস্থার কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ফোন করেন। সূত্রের খবর ১১ ডিসেম্বর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৭ জন চাকরি প্রার্থী দেখা করতে পারে। সেই দিনই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও চাকরিপ্রার্থীদের আলোচনা হতে পারে। তবে এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু জানায়নি। কুণাল আরও বলেন, মমতা, অভিষেক ও ব্রাত্য বসু সকলেই চায় সমস্যায় সমাধান হোক. আগামী সোমবার ব্রাত্য বসু চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছে, তারা আলোচনায় বসতে আগেই চেয়েছিল। ১০০০ দিনে পড়েছে তাদের আন্দোলন। আজ প্রতিবাদ জানিয়ে চুল কেটে দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের কথায় গোটা বিষয়টা নিয়ে সরকার সদর্থক ভূমিকা নিয়। তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে দেখুক। দ্রুত নিয়োগপত্র পেয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় বলেও জানিয়েছে।