সংক্ষিপ্ত

‘পরিবেশ-বান্ধব বাজি’ নিয়ে প্রচার এবং সচেতনতার জলাঞ্জলি। কালীপুজোর রাতে কলকাতা শহরে অবাধে দেখা গেল মানুষের জ্ঞানশূন্যতার ছবি।

দুর্গাপুজোর আগে থেকেই শহর এবং শহরতলিতে শব্দবাজি এবং নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে নজরদারি ও প্রচারাভিযান শুরু হয়ে গিয়েছিল। কোথাও কোথাও হচ্ছিল নাকা চেকিং, কোথাও আবার মাইক নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বাজি বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছিল পুলিশ। বহু জায়গা থেকেই আচমকা তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। কালীপুজোর আগে উত্তর থেকে দক্ষিণে বাজির বাজারে চলেছে নিয়মিত অভিযান। কিন্তু, কালীপুজোর রাতে সেই সমস্ত সতর্কতাই ধোপে টিকল না। 

-

নিয়মভেঙে ২০২৩ সালের কালী পুজোতেও অব্যাহত রইল শব্দ দানবের তাণ্ডব। শহর থেকে শহরতলি জুড়ে দেদার ফাটল শব্দবাজি থেকে নিষিদ্ধ বাজি। নিয়ম ভাঙার দায়ে পুলিশি নজরদারিতে কালীপুজোর দিন গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৪৪৪ জন।

-

নিউটাউন, সল্টলেক, দমদম থেকে গড়িয়া, সন্ধে যত এগিয়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শব্দদূষণ। যাদবপুর, কসবা, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান, হরিদেবপুর এবং বেহালা থেকেও দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিষিদ্ধ বাজির দাপটে ধোঁয়াশায় ভরে গেছে শহরের আকাশ। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ আসতেই জায়গায় জায়গায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। শহর জুড়ে নিষিদ্ধ বাজি ও শব্দ বাজি ফাটানোর জন্য চলেছে পাকড়াও অভিযান।

রবিবার, রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত বেআইনি বাজি ফাটানো ও বিক্রির জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৪৪৪ জন। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৪১৪ কেজি বেআইনি বাজি। কিন্তু, গ্রেফতারির ভয় নয়, মানুষের সচেতনতার অভাবই যে এই দাপটের মূল কারণ, সেইরকমই মনে করছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা। বায়ু দূষণের সঙ্গে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে শহরের শব্দদূষণও। শিশু থেকে বৃদ্ধ, বহু নাগরিকের জন্যই কালীপুজোর রাত ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে উঠেছে।


আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।