সংক্ষিপ্ত

আবারও রাজপথে ডাক্তাররা। 

বৃহস্পতিবার, আরজি কর কাণ্ডের পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যেই কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ‘জুনিয়র ডক্টর্স’ফ্রন্টের ডাকা সেই কর্মসূচিতে পা মেলান বহু সাধারণ মানুষও। এদিন মিছিলে হেঁটেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়া সহ অন্যান্যরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার, মিছিল শেষে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে সারারাতব্যাপী অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার, আরজি কর কাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। সিবিআই এই ঘটনায় আপাতত একজনকেই অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়েছে।

কারণ, আরজি করের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত ঐ ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই, এমনটাই চার্জশিটে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি, আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে। তবে আগামী ১৮ জানুয়ারি এই মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে।

কিন্তু তার আগে সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়াতে রীতিমতো অনাস্থা প্রকাশ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের মতে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার একা নন, আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

কিন্তু তারা দিনদিন পার পেয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার, মিছিল থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের পর, কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজারে পৌঁছে অবস্থানে বসেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। এদিন অনেক সাধারণ মানুষও তাদের সঙ্গ দিয়েছেন। দেবাশিস হালদার অবস্থান মঞ্চ থেকে বলেন, “১৮ তারিখ রায় ঘোষণা করবে আদালত। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিটের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত সিভিককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সে যদি জড়িত থাকে, সাজা পাক। কিন্তু এটাই তো পুরো বিষয় নয়। যারা এই ঘটনাকে সুইসাইড বলে চালাতে চাইল, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করল এবং আরও যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সিএলএসএফ রিপোর্ট, ডিএনএ পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন রিপোর্টের যে অসঙ্গতি, তার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। যত দিন তা না হচ্ছে, ততদিন ন্যায়বিচার পেয়েছি বলে আমরা মনে করছি না। তাই আমাদের আন্দোলন চলবে।”

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।