- Home
- West Bengal
- Kolkata
- ঠিক কী করে মা ও মেয়ে খুন করেছিল পিসি শাশুড়িকে? প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
ঠিক কী করে মা ও মেয়ে খুন করেছিল পিসি শাশুড়িকে? প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
পিসি শাশুড়িকে খুন করে দেহ পিস পিস করে কেটে ট্রলিতে ভরে আহিরীটোলায় গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পা ছিল মা ও মেয়ের।

আহিরীটোলায় খুন
পিসি শাশুড়িকে খুন করে দেহ পিস পিস করে কেটে ট্রলিতে ভরে আহিরীটোলায় গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পা ছিল মা ও মেয়ের।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ
এই ঘটনার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন। ধৃতেরা বারাসাতের বাসিন্দা।
মৃতার পরিচয়
পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম সুমিতা ঘোষ। তিনি মধ্যমগ্রামের বিদেশ পল্লীর বাসিন্দা। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে।
দুই মহিলা গ্রেফতার
পুলিশ খুনের ঘটনায় মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করছে। পলিশের অনুমান পরিচয় গোপন করতেই বারাসত থেকে কলকাতায় মা ও মেয়ে পিসি শাশুড়ির দেহ এনেছিল লোপাট করার উদ্দেশ্যে।
কীভাবে খুন
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মাথায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাতেই মৃত্যু। গতকাল রাতেই খুন করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান পিসি শাশুড়ির মাথায় ইট দিয়ে জোরে আঘাত করা হয়েছিল।
আর কে কে?
এক মহিলাকে দুই মহিলাই খুন করেছে না এই এঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে- সবকটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দুই মহিলাকে।
খুনের কারণ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সূত্রের খবর, পিসি শাশুড়ির সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই মা ও মেয়ের ঝামেলা চলছিল। গতকাল রাতে বিবাদ চরমে ওঠে। তাতেই মা ও মেয়ে মহিলাকে খুন করেন। রাগের মাথাতেই খুন বলেও অনুমান।
দেহ লোপাট
রাগের মাথায় খুন করা হলেও দেহ লোপাট করতে মা ও মেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখেই পরিকল্পনা করেছিল। আর সেই কারণেই বারাসত থেকে চলে এসেছিল শহরে।
দেহ দুমড়েমুচড়ে ট্রলিব্যাগে
মহিলার দেহ লোপাট করতে দেহ তিন টুকরো করা হয়েছিল বলে প্রথম ধরনা করা হয়েছিল। বঁটি দিয়ে মৃতার গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছিল। তারপর দেহের টুকরো গুলি দুমড়েমুচড়ে ট্রলিব্যাগে ভরা হয়েছিল।
মা ও মেয়ের দাবি
পুলিশি জেরায় প্রথমে ধৃতরা দাবি করেছিল, মহিলা তাদের আত্মীয়। গায়ে আগুন লগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল।
প্রাথমিক তদন্ত
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে দুই মহিলা ট্রলিব্যাগের মধ্যে দেহ নিয়ে শহরের একাধিক ঘাটে ঘুরে বেড়ায়। শেষপর্যন্ত আহিরীটোলায় আসে।
আহিরীটোলাই কেন?
এই ঘাট দুটি থানার বর্ডার এলাকা। শ্যামপুকুর এবং নর্থ পোর্ট থানা। ক্যাবে দেহ আনার পর ধরা পড়ে যাওয়ায় মা-মেয়ে । যদিও তারা সেই সময় বলে ট্রলিতে কুকুরের দেহ রয়েছে।