সংক্ষিপ্ত
কলকাতার বুকে হেলে পড়ল আস্ত একটি বহুতল।
বাঘাযতীনে দিনের আলোয় হেলে পড়ল আস্ত একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি।
দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে দিনের আলোতে হেলে পড়ল আস্ত একটি ফ্ল্যাটবাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই আবাসনে থাকা সব বাসিন্দাকে আগেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফলে, এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি। তবে ঠিক কী কারণে ওই ফ্ল্যাট বাড়িটি এইরকম হেলে পড়ল, তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়।
যদিও একাংশের অভিযোগ, নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি এই ফ্ল্যাট। এলাকার অনেকে আবার অভিযোগ তুলেছেন, জলা জমি বুজিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই বহুতল। স্থানীয়দের অনেকে এও দাবি করছেন, ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে আগেই নাকি ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু অভিযোগ, তারপরে আবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন অনেকে। উল্লেখ্য, এই ফ্ল্যাটবাড়িটি কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত, ৩ নম্বর বিদ্যাসাগর কলোনিতে অবস্থিত। স্থানীয়দের কথায়, ফ্ল্যাটটি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। কেন এই অভিযোগ? সাধারণত, ওই অঞ্চলে তিনতলা ফ্ল্যাট বানানোর অনুমতি দিয়ে থাকে পুরসভা। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যত ভেঙে চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ মাঝরাতে গার্ডেনরিচে একটি বেআইনি নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ে। আর সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। তদন্তে উঠে আসে, বাড়িটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তৈরি করা হচ্ছিল। এই অভিযোগও ওঠে যে, নির্মাণের তদারকিতে বড় ধরনের গাফিলতি ছিল।
সবথেকে বড় বিষয়, এই ঘটনাটি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকায় ঘটায় বেজায় চাপে পড়েছিল পুরসভা নিজেও। এরপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে পুরসভা তিনজন ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ নোটিস ধরায়।
তারপর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তাদেরকে সাসপেন্ডও করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সেই ইঞ্জিনিয়ারদের আবার কাজে ফিরিয়ে এনেছে পুরসভা। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচের ঘটনার পরেও হুঁশ ফেরেনি একাধিক জায়গায়। তার আরেকটি উদাহরণ হল এদিনের বাঘাযতীন।
যদিও এই অঞ্চলটি যাদবপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। কিন্তু এইভাবে সবার চোখের সামনে একটি আস্ত ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে উঠতে ভেঙে পড়ল। তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত ঢুকে রয়েছে?
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।