সংক্ষিপ্ত

জলকামানের সামনে তেরঙ্গা হাতে সোজা দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কারও মতে তিনি প্রতিবাদের চূড়ন্ত প্রতীক আবার কেউ মনে করেন পুলিশ-কে চুরি পরা দেখানো টা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অজ্ঞতার প্রতীক। কে এই গেরুয়া বসন পরা প্রৌঢ়? কী তাঁর পরিচয়?

 

নবান্ন অভিযানে সব কিছুর মধ্যে নজর কেড়েছিল গেরুয়া বসন পরা এক প্রৌঢ়। যিনি ইশারায় পুলিশ-কে চুড়ি পড়ার ইঙ্গিত করছিলেন। জলকামানের সামনে তেরঙ্গা হাতে সোজা দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কারও মতে তিনি প্রতিবাদের চূড়ন্ত প্রতীক আবার কেউ মনে করেন পুলিশ-কে চুরি পরা দেখানো টা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অজ্ঞতার প্রতীক ফুঁটে উঠেছে। চুড়ি পরা মানে কী দুর্বলতার প্রতীক? এই সব টানাপোড়েনের মাঝে জানা গেল তাঁর আসল পরিচয়। কে এই গেরুয়া বসন পরা প্রৌঢ়? কী তাঁর পরিচয়?

জানা যায় ঋষি অরবিন্দর আদর্শে বিশ্বাসী বলরাম বোস একজন সনাতনী শিবভক্ত। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নবান্ন অভিযানে যোগদান করেননি। ছাত্রসমাজ সেদিন সকলকে মহিলাদের সুরক্ষার দাবীতে যোগদান করতে বলেছিলেন, তাই তিনি সেদিন যোগদান করেন। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তিনি তার ন্যায়বিচারের দাবীতেই মিছিলে ছিলেন। দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে পুলিশকে মুক্ত হয়ে প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি সেই ঈঙ্গিত করেছিলেন।

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলরাম বোস জানান, "যে সমাজে নারীরা নিরাপদ নয়, সেই সমাজে প্রতিবাদ হবেই। ন্যায়বিচার ছাড়া আর কিছুই চাই না।" তবে ওনার এই ইঙ্গিতে রাজনৈতিক হাওয়া বদল হতেই টলিপাড়ার বেশ কিছু পরিচিত মুখ বলরাম বসুর এই "চুরি পরা" ইঙ্গিতের তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যারা আরজিকর কাণ্ডে নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে চোখের জল ভাসিয়েছেন তাঁরাই এবার রাজনৈতিক হাওয়া বদলে গা ভাসিয়ে এই ইঙ্গিতের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলেছেন, "মা দুর্গা, মা কালীও চুড়ি পরেন, চুরি কখনোই দুর্বলতার প্রতীক নয়। উনি যদি এটা না জানেন এটা ওনার অজ্ঞতা। অভিনেত্রী মিশমি বলেছেন, "এটাতো মেয়েদের অপমান করাই। যারা হাতে চুরি পরে তারা কী তাহলে দুর্বল নাকী?" তবে হাওড়া ব্রিজে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রৌঢ়ের সম্পর্কে অমিত মালভ্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "নবান্ন অভিযানের আইকনিক হাওড়া ব্রিজে জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি প্রতিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক।"