সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুণ আর রশিদ। তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ আলোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছে
বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়এছে কিছু মাংসের টুকরো আক চুল। মাসের টুকরোর গায়ে মাখান ছিল হলুদ। তবে এই মাংসের টুকরো বাংলাদেশের সাংসদের কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে যাবতীয় পরীক্ষা করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুণ আর রশিদ। তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ আলোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছে। সেখানকার সোয়ারেড লাইন ও সেপটিক ট্যাঙ্ক খুলে দেখা হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীদের অনুমান সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো কেটে সেপটিক ট্য়াঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই সেপটিক ট্যাঙ্ক খুলে সেই মাংস উদ্ধার করার কথাও বলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সাংসদ খুনের তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিল, সাংসদের দেহ থেকে মাংস খুলে নেওয়া হয়েছে। হাড় কেটে ফেলা হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তাহলে সেই মাংস কোথায় - তারই সন্ধান চালিয়েছিল তদন্তকারীরা। দেহাবশেষের খোঁজে কলকাতার একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালান হয়েছিল। অবশেষে নিউটাউনের আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে মাংস।
তদন্তকারী সূত্রের খবর প্রায় তিন কেজির মত মাংস উদ্ধার হয়েছে। সেগুলিতে হলুদ মাখান অবস্থায় ছিল। তবে এই মাংস সাংসদের কিনা তা দেখতে ফরেনসিক পরীভা করা হবে। তারপরই জানান হবে মাংস কার।
তদন্তকারী সূত্রের খবর আজিমকে খুনের পর তার দেহের মাংস আর হাড় আলাদা করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা হল জিহাদ ও তার সঙ্গী সিয়াম। এক একটি মাংসের টুকরোর ওজন ছিল ৭০-১০০ গ্রাম। পেশায় কশাই হাওলাদার মাংস কেটে সেগুলি ওজন করে দেখে নিয়েছিল জিহাদ।
সূত্রের খবর আখতারুজ্জামন বাংলাদেশী সাংসদকে হত্যার জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল। কসাই হাওলাদারকে কলকাতা বিমান বন্দর সংলগ্ন একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে হাওলাদার স্বীকার করেছে, সে আর চার বাংলাদেশী নাগরিক কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে এমপিকে প্রথম শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল। আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য সাংসদের দেহের পুরো চামড়া কেটে ফেলে মাংস কেটে ফেলা হয়েছিল। হাড়গুলি টুকরো টুকরো করে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে রাখা হয়েছ। তারপর খুনিরা বিভিন্ন গাড়ি ব্যবহার করে সেগুলি কলকাতারই নাা স্থানে প্যাকেটগুলি ফেলে দেয়।