সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চায়ের দোকান' মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অরিত্র দত্ত বণিক বলেন, বড় কর্তারা আগে চায়ের দোকান খুলুন, শিক্ষিতরা তাদের পাশে মুড়ি বিক্রি করবে। 

এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘সরকারি চাকরি না পেলে চায়ের দোকান দিন ভালো রোজগার হবে। এই নিয়ে মুখ খুললেন অরিত্র দত্ত বণিক।

তিনি বলেন, আইপিএস রাজীব কুমার, আইএএস মনোজ পান্থ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে লালবাজারে বসে থাকা সমস্ত আইপিএস এবং যত ডিসট্রিক্স ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আছেন যারা দিদিমণির কথায় ওঠেন বসেন ইত্যাদি করেন তারা আগে চায়ের দোকান খুলুন, কফির দোকান খুলুন। সেখানে গিয়ে আমরা খেতে যাব। নিজেরা ঠান্ডা ঘরে বসে বাতেলা দেবেন, সরকারের টাকায় ৫০টা কনভয় নিয়ে যাবেন আর দেশের শিক্ষিত ছেলেরা চায়ের দোকান দেবে মুড়ির দোকান দেবে? তাহলে পড়াশোনা ব্যবস্থাটা তুলে দিন না। ৯ খানা ডিপার্টমেন্ট চালান, একটা কিছু ঠিক করে পারেন না। আইএএস মনোজ পান্থ , চিফ সেকরেটারি ওয়েস্ট বেঙ্গল, আইপিএস রাজীব কুমার, একটা আরজি কর কেসে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে অ্যাডমিনিসট্রেটভ মিস ম্যানেজমেন্ট, তারপরও লোকগুলো ওখানে বসে আছে। মনোজ পান্থ, রাজীব কুমার যেদিন চায়ের দোকান দেবে আমরা শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা তার পাশে গিয়ে মুড়ি চানাচুর বেচব কথা দিয়ে গেলাম।

প্রসঙ্গ সেদিন সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি না পেলে হতাশ হবেন না। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও অনেক টাকা আয় হবে। চাকরি থেকে চায়ের দোকানে বেশি টাকা আয় হয়। যাঁরা সরকারি চাকরির জন্য তৈরি হচ্ছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সাজেশন, সরকারি চাকরি পেতে অনেক চৌকাঠ ডিঙোতে হয়। লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, তারপর পরীক্ষার ফল। কিন্তু, চায়ের দোকান খুলতে এসবের ঝুট ঝামেলা নেই। বাণিজ্য বসতে লক্ষ্মী। চায়ের দোকানে চা, বিস্কুট, ঘুঘনি বিক্রি করলে রোজগার বেশ ভালই। অনেক সময় চাকরির থেকেও ভালো রোজগার হয়ে চায়ের দোকানে। বলেন মুখ্যমন্ত্রী।