সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ভাঙড়ে একটি পৃথক বিভাগ গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই কাজেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে চলেছে ২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার।

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙড়। তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষে প্রচুর মানুষ হিংসার বলি হয়েছিলেন। নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তারপরেই জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসা হবে। তাঁর নির্দেশ কার্যকর হতে চলেছে নতুন বছরের শুরুতেই। 

-
 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ভাঙড়ে একটি পৃথক বিভাগ গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভাঙড়, কাশিপুর, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর – এই চারটি থানা নিয়ে আসতে হবে কলকাতা পুলিশের অধীনে। এই কাজেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে চলেছে ২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। উল্লেখ্য, পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানা দুটি নতুন থানা হিসেবে উন্মোচিত হতে চলেছে। 

-

৩০ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে, ভাঙড় অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত জেলা প্রশাসক সৈকত ঘোষ, এই চারটি স্টেশনে লাঠি, ওয়াকিটকি এবং হেলমেট সহ পুলিশি সরঞ্জাম সরবরাহের তদারকি করেছেন। সোমবার এই স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার আগে, ৩১ ডিসেম্বর, রবিবার, কলকাতা পুলিশ কমিশনার তথা নগরপাল বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) এই চারটি স্টেশন এবং তাদের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত নগরপাল (২) শুভঙ্কর সিংহ সরকার, যুগ্ম নগরপাল (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার, উপ-নগরপাল আরিশ বিলাল ও সৈকত ঘোষ, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি-সহ পদস্থ পুলিশকর্তারা। পরিদর্শনের পর নগরপাল জানিয়েছেন যে, আপাতত ডিসি-র অফিস, ট্র্যাফিক গার্ড এবং চারটি থানার পরিকাঠামো তৈরি করা সম্পন্ন হয়েছে। অন্যান্য থানাগুলির পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে সেগুলিও পরবর্তী সময়ে চালু করে দেওয়া হবে।