সংক্ষিপ্ত

এতদিন নিরাপত্তা ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই কেস নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম শুনানি দেয়। এতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কড়া প্রশ্ন করে।

 

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার ঘটনার পর বড় ধরনের ধাক্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরজি কর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন নিরাপত্তা ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই কেস নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম শুনানি দেয়। এতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কড়া প্রশ্ন করে।

সিজেআই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ৭ হাজার মানুষ হাসপাতালে ঢুকল কী করে? কী করছিল কলকাতা পুলিশ? ৮-৯ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনার পরে, কর্মীরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি করেছিলেন। ১৪ আগস্ট রাতে হাসপাতালে জনতার হামলা কলকাতা পুলিশের গাফিলতির ফল। উত্তেজিত জনতা ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে সেমিনার হলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

৩০ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে-

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ১৪ আগস্ট রাতে হামলার পর ১৬ আগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এতে তিনি দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও শনাক্তে সহায়তার আবেদন করেন। এর পর পুলিশ তাদের ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে কিছু ছবি প্রকাশ করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মোট তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট পুলিশ মোট ৩০ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে সহায়তার জন্য পুলিশও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।