সংক্ষিপ্ত
বিধাননগর পুরসভার টাকা যাচ্ছে কোথায়, রাস্তা সারাই না করে কোন খাতে খরচ হচ্ছে সেই টাকা, জানতে চাইলেন বিজেপি নেতা। কেন রাস্তা সারাই না করে এভাবে সাধারণ নাগরিকদের ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
চিংড়িঘাটার উড়ালপুলের গর্তের পর এবার সল্টলেকের রাস্তায় বিরাট গর্ত নিয়ে হইচই। গর্তে শুয়ে প্রতিবাদ দেখালেন বিজেপি নেতা। সল্টলেকের নেতাজি আইল্যান্ডের কাছে রাস্তায় বিরাট গর্ত নিয়ে এবার সরব হল বিজেপি। বিধাননগর দু নম্বর মন্ডলের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় পয়ড়্যা খোদ ওই গর্তে শুয়ে পড়েন। তাঁর দাবি প্রশাসনের গাফিলতি ও উদাসীনতার জন্যই সল্টলেকের রাস্তার এই বেহাল দশা।
বিধাননগর পুরসভার টাকা যাচ্ছে কোথায়, রাস্তা সারাই না করে কোন খাতে খরচ হচ্ছে সেই টাকা, জানতে চাইলেন বিজেপি নেতা। কেন রাস্তা সারাই না করে এভাবে সাধারণ নাগরিকদের ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, সল্টলেকের নেতাজি আইল্যান্ডে এই রাস্তার ধার ঘেঁষে বেশ বড়সড় গর্ত তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রেই খবর, দেখতে দেখতে ৩ মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু, লবণহ্রদের এ পথের দশা সেই তিমিরেই। দুর্ঘটনা রুখতে ব্যারিকেড দিয়ে গর্তটি ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন! সেখানেই কাজ শেষ তাঁদের।
তারপর আর রাস্তার মেরামতি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে থাকা রাস্তা মেরামত কবে হবে - এই প্রশ্নটা কিন্তু, সল্টলেকের বহু বাসিন্দাই তুলছেন। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল বলেন, “একটা ধস নেমেছে, অনেকদিন ধরে, লিক আছে, তাড়াতাড়ি সমাধান হচ্ছে না। তাড়াহুড়ো করলে আরও সমস্যা হতে পারে। পুরসভার ক্যাশ ক্রাঞ্চ আছে কাজ হচ্ছে না। সেটা এলেই হয়ে যাবে। বিজেপি যে রাজনীতি করছে, সেটা করে লাভ নেই।’’
সঞ্জয় পয়ড়্যা বলেন, “বিধাননগরের মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে কোথায়? এই রাস্তাঘাটে শুধু চাপলা দিয়ে রাখা। শুধু ওপরে পালিশ। আর নিচে বেহাল অবস্থা। এর জন্য দায়ী কে?’’
এদিকে, বৃহস্পতিবারই সামনে আসে যে বড় বড় ফাটল ধরেছে সল্টলেকের সুকান্তনগরে চিংড়িহাটা ফ্লাইওভারে। সেই ফাটলগুলিতে চাকা পড়ে গেলে কী হবে, সেই সংকটেই প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করছেন গাড়িচালকরা। বৃহস্পতিবার সকালে সেক্টর ফাইভগামী রাস্তায় একাধিক গর্ত দেখতে পান নিত্যযাত্রীরা। ইএম বাইপাস থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী এই সুকান্তনগর চিংড়িঘাটা উড়ালপুল একটি ব্যস্ততম রাস্তা। প্রত্যেক দিন এই রাস্তা ধরে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। উড়ালপুলের শেষ প্রান্ত অর্থাৎ সুকান্তনগরের দিকে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গর্ত মাঝেমধ্যেই রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, এই এলাকায় কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের কাজ চলছে। ফলে ভারী যন্ত্রপাতি ও মেশিনের ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলির দ্বারা উড়ালপুলের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মতে, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করে। সেই কারণেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।