সংক্ষিপ্ত

বিরোধী দলনেতা বলেন নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সাফ করব। ১১টা পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়বে বিজেপি। আর ৬ টায় তৃণমূল মুক্ত বোর্ড হবে। কীভাবে হবে, তার ব্যবস্থা নমিনেশনেই ঠিক হয়ে গেছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল মুক্ত পঞ্চায়েত গড়বে বিজেপি, রবিবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া বিধায়কের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিশানা করলেন তিনি। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বিরোধী দলনেতা। এই দিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা ও মন্ডল নেতৃত্ব।

এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সাফ করব। ১১টা পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়বে বিজেপি। আর ৬ টায় তৃণমূল মুক্ত বোর্ড হবে। কীভাবে হবে, তার ব্যবস্থা নমিনেশনেই ঠিক হয়ে গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনারকে বলা আর কাকস্য পরিবেদনা একই জিনিস। তাহলে কী আরও রক্তাক্ত নির্বাচন করানোর ইঙ্গিত দিলেন তিনি! প্রশ্ন উঠছে।

প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এসে মনোনয়ন পর্বের অশান্তি নিয়ে কমিশনকে দুষলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কর্মসূচি শেষ করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শাসকদল ও কমিশনকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ৪৮ ঘণ্টা কাটলেও হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি। তাই সোমবার আবারও আদালতে যাচ্ছেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০০৩ ও ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে যে প্রাণ ঝরেছিল, সেই সংখ্যা এবার ছাড়িয়ে যাবে। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু অধিকারীর জেতা আসনগুলোতে পদ্মফুল আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বুথগুলোতে জিতেছিলেন, সেই বুথে তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার জন্য যা অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনাতেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিশীথ প্রামানিকের ওপর হামলা হল। তৃণমূলের গুন্ডাদের এই হামলার নিন্দা করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন নিশীথ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও নিরাপদ নয়। তারপরই শুভেন্দুর প্রশান তাহলে এই রাজ্যে কী করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বহাল থাকবে। তিনি আরও বলেন বিরোধী প্রার্থী ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের অবস্থাও শোচনীয়। তিনি অভিযোগ করেন বিডিও অফিস চত্ত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করার পরেও এজাতীয় ঘটনা ঘটছে।