আরজি কর ইস্যুতে আবার ধর্মতলায় ধর্না ডাক্তারদের, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর ইস্যুতে অবস্থান
আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ঘর্ষণের ঘটনায় ৯০ দিন পরেও চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে নতুন করে আবার পথে চিকিৎসকরা।
ধর্মতলায় ধর্না
সিবিআই-এর অপদার্থতার জন্য ছাড়া পেয়েছেন তৎকালীন অদ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তারই প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকদের একাংশ।
সায় দেয়নি পুলিশ
ধর্নার অনুমতি চেয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ইমেল করেছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি।
আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ কলকাতা পুলিশে
এরপরই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুলিশের। প্রথমে মামলা ওঠে সিঙ্গেল বেঞ্চে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ধর্মতলায় ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
চ্যালেঞ্জ রাজ্যের
সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু আন্দোলনকারীদের ওপর চাপিয়ে দেয় কিছু শর্ত।
ডিভিশন বেঞ্চের রায়
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের আর্জি। সোমবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, ধর্মতলায় পূর্বনির্ধারিত দিন পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে পারবেন চিকিৎসকেরা।
আদালতের শর্ত
সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া শর্ত একটু কড়া করল ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানাল, ২০০ জনের পরিবর্তে অবস্থানে উপস্থিত থাকতে পারবেন ১০০ জন।
কলকাতা পুলিশের আপত্তির কারণ
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে সওয়াল করে জানান, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। ওই সময়ে পার্ক স্ট্রিটে মানুষের ভিড় হয়। ধর্মতলা দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সে কারণে ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর ধর্মতলায় অবস্থান বন্ধ রাখা হোক।
ডাক্তারদের বক্তব্য
চিকিৎসকদের আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, তাদের কর্মসূচি দিন-রাতের। তাঁরা এই কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন করবেন না।