সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঁধ দেওয়া সময়ের আগেই আরজি কর হত্যা ও ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেই তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদিন আদালত মামলার কেস ডায়েরির সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আগামিকাল সকাল দশটার মধ্যে এই কেসের যাবতীয় তথ্য সিবিআই কে হস্তান্তর করতে হবে কলকাতা পুলিশকে। নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে আগে থেকেই আন্দোলনকারী পড়ুয়া ও নিহত নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের ভার তুলে দেয় সিবিআই-এর হাতে।
এদিন আদালত পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। এদিনই আরজি করকাণ্ডে দায়ের হওয়া পাঁচটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্যের কাছ থেকে কেস ডায়েরি তলব করা হয়। দুপুর ১টায় আদালতের নির্দেশ মত কেয় ডায়েরি জমা দেয় রাজ্য সরকার। কেস ডায়েরি দেখেই পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তারপরই তদন্তের ভার দেওয়া হয়ে সিবিআইকে।
আরজি কর মামলায় প্রশ্নের মুখে পুলিশঃ
এদিন শুনানির সময় নিহতের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রথম পরিবারের কাছে একটি ফোন যায় সেখানে প্রথম বলা হয় মেয়ে অসুস্থ। পরবর্তী সময় বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেন এমন করা হয় জানতে চান আইনজীবী। পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়. দুটি ফোন গিয়েছিল হাসপাতাল থেকে নিহতের বাড়িতে। হাসপাতালের সহকারী সুপার ফোন করেছিলেন বলেও জানান। তবে ফোনে কী কথা হয়েছে তা জানায়নি রাজ্য।
দ্বিতীয় অসন্তোষ- আরজি করকাণ্ডে প্রথমে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার রুডুকরে তদন্ত শুরু করেছিল। যা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই ধরনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অস্বাবাবিক মৃত্যুর মামলাই প্রথমে জায়ের করা হয়। প্রথমে কেউ এসে অভিযোগ করেনি। পাল্টা বিচারপতির পর্যবেক্ষণ- পুলিশ কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল না। মৃতদেহ হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে, রাস্তা থেকে নয়!হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ রয়েছে, তাদের কেন ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
তার পরই প্রধান বিচারপতি আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রাজ্যের আইনজীবীকে আদালতের মধ্যেই মামলার নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি। আগামী তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির কথা বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, পরবর্তী শুনানিতেই সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।