সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআই দল নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। জেনে রাখা ভালো যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এবার তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিকেল সওয়া ৪টের মধ্যে সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতে হবে সিআইডিকে। ইডির মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বহাল রেখে এই নির্দেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

কিন্তু সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে কলকাতা হাই কোর্ট সময় দিয়েছিল বিকেল সওয়া ৪টে পর্যন্ত। তার মধ্যেই শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে নিয়ে বেরোয়নি সিবিআই। আর তাই আবারও রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেল ইডি।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের এই আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখন সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে এই আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছে। এর সঙ্গে এখন এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত এবং তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআই দল নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। জেনে রাখা ভালো যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদালত জানায় যেখানে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের কোনও কারণ নেই। দ্রুত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়। সময় বেঁধে দেওয়া হয় বুধবার সকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে।

আদালত প্রথমে সাড়ে ৪টের মধ্যে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই আদালতের কাছে আবেদন করে যে, সময়সীমা আরও ১৫ মিনিট এগিয়ে নিয়ে আসা হোক। বুধবারও যদি শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে না পায় সিবিআই, সে ক্ষেত্রে সাড়ে ৪টের মধ্যে তারা আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মেনে নিয়ে শাহজাহানকে হস্তান্তরের সময়সীমা ১৫ মিনিট এগিয়ে এনে বিকেল সওয়া ৪টে করে দেয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।