সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তাঁর সরকার বাংলার জন্য অনেক কাজ করেছে। তাঁর সঙ্গে শিল্পপতি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের কর্ণধাররা ছিলেন।
সফল বিদেশ সফর। শনিবার সন্ধ্যায় বিদেশ সফর শেষে কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, এই বাণিজ্য সফর চূড়ান্ত সফর। তিনি বলেন, 'এত সাকসেসফুল প্রোগ্রাম আমি খুব কমই দেখেছি।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তাঁর সরকার বাংলার জন্য অনেক কাজ করেছে। তাঁর সঙ্গে শিল্পপতি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের কর্ণধাররা ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন বেশ কিছু বড় বড় চুক্তি হয়েছে। বিজিবিএরএ- আসবার জন্য মাদ্রিজ, বার্সেলোনা ও দুবাইের মিটিংগুলি সফল হয়েছে বলেও জাবি করেন তিনি। মমতা বলেন, পুরোটা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স ফিকি পরিচালনা করেছে। প্রবাসী ভারতীয়রা খুব খুশি। তিনি বলেন প্রবাসী বাঙালিরাও খুব খুশি হয়েছে।
১১ দিনের বিদেশ সফর সেরে এদিনই কলকাতায় ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পেন , বার্সেলোনা হয়ে দুবাই গিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই এদিন কলকাতায় ফেরেন। মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় দুটি শিল্প বৈঠক করেন মমতা। সেখানে ভাল সাড়া পেয়েছেন বলেও দাবি মমতার। স্পেনের ফুটবল লিগ লা লিগার সঙ্গে মাদ্রিদে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। লা লিগা বাংলায় ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করবে।
দুবাইে মমতার সফরও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেই শিল্পের জন্য ভাল সাড়া পেয়েছেন। দুবাইয়ের বিখ্যাত শিল্প গোষ্ঠী লুলু গোষ্ঠীরা কর্তার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কলকাতার নিউটাউনে বিশ্বমানের শপিংমল তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বাংলায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতে চায়। ২০২৩ সালে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও সংস্থাটিকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।
দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাউঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের। 'ভারতে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কি আপনি দিচ্ছেন?' মমতাকে তিনি এমনটাই প্রশ্ন করেছিলেন। 'জনগণ যদি আমাদের সমর্থন করে তাহলে আগামিকাল আমরা ক্ষমতায় থাকতে পারব।'এমনটাই উত্তর দিয়েছিলেন মমতা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে তিনি কলকাতা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজেনেস সামিট ২০২৩ -এর জন্য মমতা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও মমতার এই আমন্ত্রণ নিয়ে বিরোধীরা মমতা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাঁদের কথায় শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট চলছে। তাই সেই দেশের প্রধানকে বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও মানে হয় না।