সংক্ষিপ্ত
CPM On SSC Verdict: সুপ্রিম রায়ে মুহুর্তের মধ্যেই চাকরি হারা ২৫,৭৫৩ জন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের এই রায় নিয়ে মুখ খুলেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি চাকরি বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারের অপদার্থতাকেই দায়ী করলেন।
CPM On SSC Verdict: সুপ্রিম রায়ে মুহুর্তের মধ্যেই চাকরি হারা ২৫,৭৫৩ জন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের এই রায় নিয়ে মুখ খুলেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি চাকরি বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারের অপদার্থতাকেই দায়ী করলেন।
তিনি বলেন, ''এক বছর সময় পেয়েও যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এই ভাবে একটা সরকারের দুর্নীতির জন্য যোগ্যদের পেটে লাথি মারা যায় না। কীভাবে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে সরকারের উচিত এখন বিকল্প পথ ভাবা।''
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, ''খুবই একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই অর্ডার দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট কার্যত সেই নির্দেশকে মান্যতা দিলো। বলল, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না আদালত। স্রেফ কতগুলো টাকার জন্য হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রাপকদের পেটে লাথি মারা হল। সরকার দাঁড়াল অযোগ্যদের পাশে। চাকরি হারালো যোগ্যরা।''
এখানেই না থেমে সুজনের আরও দাবি, এই সরকারকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া উচিত। যোগ্য ছেলে-মেয়েদের পেটে লাথি মারল এই সরকার। এর ভয়াবহতা ভাবাই যায় না! বৃহস্পতিবার চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাম নেতা আরও বলেন, ''হাইকোর্ট আগেই বলেছিল যারা অযোগ্য তাদের সিবিআই হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হোক। সেটাই দরকার ছিল। যদিও এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কিছুই জানায়নি। তিন মাসের মধ্যে ফ্রেস নিয়োগ করতে বলেছে। সরকার আদেও তা পারবে কিনা জানি না। কিন্তু যোগ্য চাকরি হারাদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য এক বছরে যোগ্য-অযোগ্য কারা খুঁজে বের করতে পারেনি রাজ্য সরকার। একটা সরকারের অপদার্থতার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল গোটা রাজ্যের।
একই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা জগতে আজ চরম কালো দিন। হাজার হাজার যুবক-যুবতীর ভবিষ্যৎ আজ তৃণমূলের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কোপে অন্ধকারে তলিয়ে গেলো। তারই প্রতিবাদে এদিন বিধান ভবনের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।